• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম দুর্নীতি ঠেকানোর হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রী’র


প্রকাশিত: ৭:০২ পিএম, ১২ মার্চ ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

nahid-qqq.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার :  শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমরা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। এগুলো বন্ধ করে দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নই সরকারের লক্ষ্য। রবিবার ইস্টার্ন ইউনিভাসির্টির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে কোনও ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর হুঁশিয়ারি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা নিজের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে চান, আইন বা বিধিবিধান মানতে চান না, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। আইনি পথেই তাদের বাতিলের খাতায় ফেলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় লালিত এবং জাতীয় সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে সক্ষম মানবসম্পদ সৃষ্টি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা থাকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। এসময় ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যেন ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া জঙ্গিদের কবলে পড়ে জীবন ধ্বংস না করে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন গঠন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংসদে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন পাশ হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। তাদের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সমাবর্তনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোইট পিয়েরে লারামি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, ইস্টার্ন ইউনিভাসির্টির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুর রব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলাম।এবারের সমাবর্তনে এক হাজার ৯০১ জন শিক্ষার্থীর হাতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।