বেতন বাড়িয়েছি এবার দুর্নীতি করলে খবর আছে-প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : বেতন বাড়ানো হয়েছে, দুর্নীতি বন্ধ করুন, এবার কোন কর্মকর্তা কর্মচারী দুর্নীতি করলে খবর আছে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন খোদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে দুর্নীতি বন্ধের বিষয়ে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত রয়েছেন।
বেলা ১১টায় শুরু হয়ে আজ দুপুর সোয়া ২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকটি চলছিল।সচিবদের কাজের বিষয়ে নির্দেশনা দিতে ও পর্যালোচনা করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সচিবদের উদ্দেশে বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর করে সবার ন্যায়সংগত পদোন্নতি ও পদায়ন নিশ্চিত করুন। অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার দিন। জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার আরো বাড়াতে হবে। অর্থবছরের শেষ দিকে তাড়াহুড়া না করে বছরের শুরু থেকেই বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণ করুন। বর্ষা মৌসুমে প্রকল্পের পেপারওয়ার্ক সম্পন্ন করুন। আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় প্রয়োজন হলে তা দ্রুত করে ফেলুন। কাজের গুণগত মানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।’
গ্রাম উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রামের মানুষ কাজের খোঁজে শহরে না আসে। শহরের ওপর জনসংখ্যার চাপ যাতে না বাড়ে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থান সুস্পষ্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন সংশোধন করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মজীবী নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৯ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬০ করা হয়েছে। এই সুযোগ-সুবিধার পর কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।’