বুধবার আইপিএলে সাকিব মুস্তাফিজের প্রেস্ট্রিজ লড়াই
আসমা খন্দকার : বুধবার দুই বাংলাদেশী টাইগারের ফাইনাল খেলা আইপিএলে।একজন ওইদিন হারবে আর একজন জিতবে। আইপিএলে এই হার-জিতের লড়াই এবার সাকিব-মুস্তাফিজ কে নিয়ে।
সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজুর রহমান; বাংলাদেশের এই দুই তারকা ক্রিকেটারের জন্যই আইপিএল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। অনেকেই শুধু সাকিব আর মুস্তাফিজের খেলা দেখার জন্যই নজর রাখে আইপিএলে। আর সাকিব-মুস্তাফিজের মুখোমুখি লড়াই যে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি করে, তা তো বলাই বাহুল্য। গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচের পর সাকিব-মুস্তাফিজের আরো একটি লড়াই দেখার সুযোগও পেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
রোববার মুস্তাফিজের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে সাকিবের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পয়েন্ট তালিকায় তারা আছে চতুর্থ স্থানে।
তৃতীয় স্থানে আছে মুস্তাফিজের হায়দরাবাদ। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের দখল নিয়েছে গুজরাট লায়নস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ের লড়াইয়ে তাই আবারও একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নামতে হচ্ছে সাকিব-মুস্তাফিজকে।
আইপিএলের শেষ চারের সমীকরণ অনুযায়ী, প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে শীর্ষ দুই দল গুজরাট ও ব্যাঙ্গালোর। জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দলের সামনেও থাকবে ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ।
তখন তাদের খেলতে হবে ‘এলিমিনেটর’ ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে। আর এই ‘এলিমিনেটর’ ম্যাচেই একে অপরের বিপক্ষে লড়তে হবে সাকিব ও মুস্তাফিজের দল কলকাতা ও হায়দরাবাদকে। ম্যাচটি হবে আগামী বুধবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে।
গ্রুপ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচেই হায়দরাবাদকে হারের স্বাদ দিয়েছিল কলকাতা। গত এপ্রিলে আইপিএলের অষ্টম ম্যাচে কলকাতা জিতেছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। আর গতকাল রোববার সাকিবের দল আবার মুস্তাফিজদের হারিয়েছে ২২ রানে। ফলে এলিমিনেটর ম্যাচের আগেও হয়তো মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়েই থাকবেন সাকিবরা।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠেই নামতে হয়নি সাকিবকে। ফলে সাকিব-মুস্তাফিজের ব্যাট-বলের লড়াই দেখার সৌভাগ্য হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে গতকাল মুস্তাফিজের বল মোকাবিলা করতে হয়েছে সাকিবকে।
‘ফিজের’ ছয়টি বল খেলে সাকিব করতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। সেটাও ইনিংসের একেবারে শেষপর্যায়ে। ১৭ ও ১৯তম ওভারে। যখন ঝড়ো ব্যাটিং করে দলের সংগ্রহটা বড় করে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন ব্যাটসম্যানরা। ফলে মুখোমুখি লড়াইয়ে সাকিবের চেয়ে কিছুটা এগিয়েই রাখা যায় মুস্তাফিজকে। এখন ফাইনালে যাওয়ার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে তাঁরা একে অপরকে কিভাবে মোকাবিলা করবেন, সেটাই দেখার ব্যাপার।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৭ ইনিংসে ব্যাটিং করে সাকিব করেছেন ১১৪ রান। বল হাতে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। আর মুস্তাফিজ ১৪ ম্যাচে বোলিং করে নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। আইপিএলের এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকায় তাঁর নামটি আছে চতুর্থ স্থানে। সবচেয়ে বেশি, ১৯টি উইকেট নিয়েছেন ব্যাঙ্গালোরের যুবেন্দ্র চাহাল।