বুধবারের মধ্যে লতিফ গ্রেপ্তার না হলে বৃহস্পতিবার হেফাজতের হরতাল
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:
আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে আগামী বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে বলে জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
এ ছাড়া তাঁর গ্রেপ্তার দাবিতে আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম প্রকাশ হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের নীতি-নির্ধারক ফোরামের বৈঠকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর প্রেস সচিব মাওলানা মনির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হবে।
বেলা আড়াইটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম প্রকাশ হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের নীতি-নির্ধারক ফোরামের বৈঠক চলছিল।
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঢাকা মহানগর কমিটির
লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারে হেফাজতে ইসলামের নীতি-নির্ধারক ফোরামের বৈঠকে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটি ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।
আজ সোমবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জোহরের নামাজের পর লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল করার আগে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নূর হোসাইন কাশেমী এ আলটিমেটাম দেন।
এ সময় নূর হোসাইন কাশেমী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর কমিটি যখন বিক্ষোভ মিছিল করে, একই সময়ে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়নি।
মিছিল শেষে এক সমাবেশে লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তারের দাবি ও সংসদের চলতি অধিবেশনে ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাসের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।
সংসদে আইন পাস সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি পাসের দাবি জানিয়েছে তারা। তা-ও সম্ভব না হলে, এ ইস্যুটি নিয়ে গণভোট করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এসব দাবি মানা না হলে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ ও পরবর্তী সময়ে সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করিমের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন্দ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।