• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নায়কদের রায় কার্যকর যথাযথ প্রক্রিয়ায হবে’


প্রকাশিত: ১:১৩ পিএম, ৬ জানুয়ারী ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৫০ বার

aaaবিশেষ প্রতিবেদক:   আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন,  আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হবে। অন্য আসামিদের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে নিজামীর ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ nigami-wwwatirkhantha.com.bd.jকরা হবে।’ বুধবার সকালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখার পর সাংবাদিকদের  এ কথা জানান তিনি।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এদেশে ন্যায় বিচার হয়। ইনশাল্লাহ, এ রায় কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, ‘একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতির ওপর নির্যাতন চালালো হয়েছিল সে সময়ের নায়কদের আজ শাস্তি হচ্ছে।

তিনি জানান, যারা একাত্তরের হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছিল ১৯৯১ সালে তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি করা হয়েছিল।
এর আগে বুধবার সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে নিজামীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় দেন ধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।

গত ৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আবেদনের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নিজামীর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য রেখেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বুদ্ধিজীবী হত্যা ও নিরস্ত্র মানুষকে গণহত্যা এবং পাবনায় হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর কুখ্যাত রাজাকার নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

ট্রাইব্যুনালে নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যাসহ চারটি অভিযোগে (২, ৪, ৬ ও ১৬) নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতা করার চারটি অভিযোগে (১, ৩, ৭ ও ৮) তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি আটটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেগুলো থেকে তাঁকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ছয় হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার নথিসহ নিজামীর করা আপিলে ১৬৮টি যুক্তি তুলে ধরে সাজার আদেশ বাতিল করে খালাস চাওয়া হয়।

১১ কার্যদিবস শুনানি শেষে বুধবার আপিল বিভাগ পাঁচটি অভিযোগে (২, ৬, ৭, ৮ ও ১৬) নিজামীর সাজা বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্যে ২, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তিনটি অভিযোগ (১, ৩ ও ৪) থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।