বীর প্রতীক তারামন বিবি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে
আসমা খন্দকার : চিকিৎসার জন্য খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক তারামন বিবিকে রাজধানী মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তাকে মহাখালির বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের জানিয়েছেন।
তাহের বলেন, ‘ভর্তি করার পর মাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবারপর তাকে বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে আমরা সকাল ৬ টার দিকে মাকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় যাত্রা করি। ঢাকায় এসে তাকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমরা সকাল ১০ টার দিকে ঢাকায় পৌঁছাই। পুরো রাস্তা মাকে অক্সিজেন দিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে।’
আবু তাহের আরও জানান, তার মায়ের চিকিৎসার জন্য বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিচালককে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার মাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়।
তারামন বিবির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রাশেদুল হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তার যক্ষ্মা ছিল। সেখান থেকে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তার ফুসফুসের ধারণক্ষমতা কমে গেছে। ফলে তিনি অক্সিজেননির্ভর হয়ে গেছেন, বসে থাকলেও শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসের সমস্যার কারণে তার হৃদপিন্ডের সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
কুড়িগ্রামের শংকর মাধবপুরে ১১ নম্বর সেক্টরে কমান্ডার আবু তাহেরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারামন বিবি। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকিস্তানীদের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে সম্মুখ যুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। কিন্তু এই মুক্তিযোদ্ধাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয় ১৯৯৫ সালে। ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবিরি হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।