• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিসিএসে ‘ওয়ান্টেড’ ছাত্রলীগ ক্যাডার-খতিয়ে দেখছে পিএসসি


প্রকাশিত: ২:৪৪ এএম, ৩০ অক্টোবর ২৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :ন ‘ছাত্রলীগ ক্যাডার’ খুঁজতে সবশেষ চার বিসিএসের পুরো প্রক্রিয়া পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় কোনো ‘বিশেষ সুবিধা’ দেয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে কাজ চলছে। তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনকেই (পিএসসি)। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজও শুরু করেছে তারা। নতুন করে তথ্য যাচাইয়ের খবরে উৎকণ্ঠায় আছেন ৪৩তম বিসিএস টপকে যাওয়া ২ হাজার ৬৪ প্রার্থী। সর্বশেষ ৩ বিসিএস, অর্থাৎ ৪৪ থেকে ৪৬তমের প্রিলিমিনারি, লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীদের মনেও ভর করেছে হতাশা।

এর বাইরে আরো ছয়টি বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আট ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে। বিসিএসের সেই ব্যাচগুলো হলো– ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী বিসিএস পরীক্ষায় নানাভাবে পিএসসির ‘বিশেষ সুবিধা’ পেয়েছেন। বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসন ক্যাডারে তাদের ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটেছে বলে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে বিএনপি।

পিএসসি সূত্র জানায়, শেষ ৪ বিসিএসের মধ্যে ৪৩তমের নিয়োগ প্রক্রিয়া গত ১৫ অক্টোবর শেষ হয়েছে। সেদিন ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাদের আগামী ১৭ নভেম্বর চাকরিতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। তবে গত সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে যোগদানের সময় প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে আগামী ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা অর্ধেক নেয়া হয়েছে। বাকিদের মৌখিক আটকে আছে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হলেও এখনো ফল প্রকাশ হয়নি। আর ৪৬তম বিসিএসের বাছাই পরীক্ষার (প্রিলিমিনারি) ফল প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যপদে এসেছে রদবদল।

সাধারণত প্রতিবছরের নভেম্বরে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ৫ বিসিএস এই ধারাতেই হয়েছে। সে হিসাবে আগামী নভেম্বরে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কথা। ৪৭তমের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। বাড়তেও পারে এ সংখ্যা। এই বিসিএসের মাধ্যমে সরকার ২৫ ক্যাডারে ৩ হাজার ৪৭৮ জনকে নিয়োগ দিতে পারবে। স্বাস্থ্য ক্যাডারে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৮১ জন সহকারী সার্জন নিয়োগের সম্ভাবনা আছে। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে ৯৩৮, প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ১০০, কাস্টমসে ৫০, আনসারে ৫০, ট্যাক্সে ৫০ এবং পররাষ্ট্র, বন, রেল, কৃষি, মৎস্যসহ অন্যান্য ক্যাডারে ৯৫১ জন নিয়োগ হতে পারে। তবে নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।