বিশ্ব জুয়াড়ী রিজার্ভ চোর কিম বহা্ল কেন! ক্যাসিনোর সম্পদ জব্দে মামলা হচ্ছে
বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রিজার্ভ চোর কিম এখনও বহাল তবিয়তে। তার বিরুদ্ধে এখনও আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়নি ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ। তবে ফিলিপাইনে চুরি করে নেয়া বাংলাদেশের রিজার্ভের পুরো ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আদায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ক্যাসিনো ও জাংকেট অপারেটরদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার মামলা করবে মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ (এএমএলসি)।
আগামী সপ্তাহেই এই মামলা করা হবে বলে অর্থ চুরির বিষয়ে সিনেটে মঙ্গলবারের শুনানিতে জানিয়েছেন এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাকে-আবাদ।শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আমরা এর মধ্যেই আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহেই এই (বেসামরিক সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ) মামলা করতে পারব।’
ফিলিপাইনে এই ধরনের মামলায়, অবৈধ সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে এমন প্রমাণ পেলে সরকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। সেক্ষেত্রে সম্পদের মালিকের আইনি লড়াইয়ের অধিকার থাকবে। কিন্তু তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তার সম্পদ বৈধ অর্থ থেকে এসেছে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংক পাঠানো হয়। রিজল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ ক্যাসিনোর জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয়ে ফিলিপিন্সের মুদ্রা ব্যবস্থায় মিশে যায় বলে স্থানীয় পত্রিকাগুলি খবর প্রকাশ করে। রিজার্ভ চুরির ঘটনার পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত ক্যাসিনোর জাঙ্কেট অপারেটর কিম অংকেই মূল ব্যক্তি বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। এর মধ্যে দুই দফায় ৫৪ লাখ ডলারের বেশি অর্থ এএমএলসির কাছে ফেরত দিয়েছেন কিম।