বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ
স্টাফ রিপোর্টার : টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবন থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এই মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাতে বিশেষ করে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ব্যাপক ঐক্য লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সা’দ এই মোনাজাত পরিচালনা করেন।
প্রথম পর্যায়ের ইজতেমায় দেশের ১৬টি জেলার হাজার-হাজার মুসল্লি অংশ নেন। জেলাগুলো হচ্ছে— গাজীপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মানিকগঞ্জ, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাঙামাটি, বান্দরবান, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, যশোর, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, মৌলভীবাজার ও সাতক্ষীরা।
গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ জানান, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, আলজেরিয়া, ওমান, ইয়েমেন, সুদান, ফিলিস্তিন, তিউনিসিয়া, বাহরাইন, ফ্রান্স, কুয়েত, সোমালিয়া, কেনিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ইরাক ও ইরানসহ ৯১টির বেশি দেশের ৭ হাজার ৮০৪ জন বিদেশি মুসল্লি এবার ইজতেমায় যোগ দেন।
অন্য জেলার মুসল্লিরা ২০-২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় পর্যায়ের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন। শুক্রবার বাদ ফজর আলেমদের বয়ান ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় এবং রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি হয়।
ইজতেমায় পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিশিষ্ট ওলামা-মাশরেকগণ বয়ান করে থাকেন এবং অন্যন্য আলেমগণ তা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করে শোনান।স্থান সংকুলান ও পরিবহন সমস্যার প্রেক্ষিতে ২০১১ সাল থেকে দুটি পর্যায়ে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নয়াদিল্লী ভিত্তিক তাবলিগ ই জামাত ১৯৬৭ সাল থেকে ইজতেমা আয়োজন করে আসছে।