• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা ষড়যন্ত্র চক্র শাহজালালে বহাল-সাসপেন্ড-২


প্রকাশিত: ৩:১৭ এএম, ১০ জুন ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৬৯ বার

এস রহমান   :  বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চেষ্ঠার 11ঘটনায় দুই প্রকৌশলীকে সাসপেন্ড ও একজনকে ক্লোজ করা হয়েছে।কিন্তু ঘটনার নেপথ্যে শাহজালাল বিমান বন্দর ও সিভিল এভিয়েশনের জামায়াত শিবির চক্রটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।এরা এখনও রয়েছে বহাল তবিয়তে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহজালাল বিমান বন্দর ও সিভিল এভিয়েশনের প্রভাবশালী একটি চক্রটি জামায়াত-শিবিরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।এরা একেকজন একইপদে থেকে বছরের পর বছর চাকরী করছেন। এরা বিএনপি জামায়াত আমলে যেমন ছিলেন এখনও তেমনি আছেন।এেদের খুঁটির জোর নাকি খুব বেশী। ফলে নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত থাকলেও এরা থেকে যায় বহাল তবিয়তে।

মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঝুঁকিপূর্ণ মেটালিক বস্তু ফেলে রেখে বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে ঢাকাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ! কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে?

এসএসএফের চৌকস কর্মকর্তাদের বিচক্ষণতায় এ যাত্রায় রক্ষা পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা সহ তার সফর সঙ্গীরা।পরদিন প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি ফ্লাইটে’র চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

সিভিল এভিয়েশন ও গোয়েন্দা সূত্র জাতিককন্ঠকে জানায়, হয়রত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় ৩৭ মিনিট আকাশে চক্কর দিতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিকে। এটি শাহজালালে অবতরণের আগ মুহূর্তে হঠাৎ কন্ট্রোল টাওয়ারের মাধ্যমে ফ্লাইটটি অবতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।

টাওয়ার থেকে ওই ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন জামিলকে জানানো হয়, রানওয়ের ঠিক মাঝামাঝি স্থানে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মেটালিক বস্তু পড়ে আছে। মুহূর্তে পাইলট অবতরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশল শাখার দুই প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত ও একজনকে ক্লোজড করা হয়।  বিমানের প্রকৌশল শাখার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এঘটনায় শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সিভিল এভিয়েশনের ফ্লাইট অ্যাক্সিডেন্ট ইন্সপেকশন বিভাগ থেকে।