‘বিভ্রান্তিমূলক ও অপ্রীতিকর’ সংবাদ প্রকাশ হয়েছে: র্যাব
র্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এ টি এম হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে কাল্পনিক নাম প্রকাশ করে বিভ্রান্তিমূলক ও অপ্রীতিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা এলিট ফোর্স র্যাবের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।’
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, সাত খুনের ঘটনায় পুলিশসহ একাধিক তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখছে। এ সময় এমন সংবাদ পরিবেশন তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা, তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা।
সংবাদের সত্যতা যাচাই না করে এমন তথ্য প্রকাশ ও প্রচারকে ‘শিষ্টাচার বহির্ভূত ও বেআইনি’ বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘র্যাবের মতো বাহিনীকে জড়িয়ে এহেন কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।’
র্যাব বলছে, দুজন সাবেক র্যাব সদস্য নারায়ণগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেটের খাসখামরায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তার সূত্র ধরে খবরটি প্রকাশিত হয়। এ রকম স্বীকারোক্তিমূলক যেকোনো জবানবন্দি আইন অনুযায়ী অতি গোপনীয়। অন্য কারও জানার কোনো অবকাশ নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে কারও নাম উল্লেখ না করে এক আইনজীবীর ব্যাপারে বলা হয়, ‘জবানবন্দি দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই জনৈক আইনজীবী ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে র্যাব সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে জানান, উক্ত কর্মকর্তাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ আছে।’ এ ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে র্যাব মনে করে।
‘হত্যার দায়’ স্বীকার করে ৪ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মেজর আরিফ হোসেন। পরদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা এম এম রানাও।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় অবসরে পাঠানো র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারিক সাঈদ মোহাম্মাদ, সাবেক কর্মকর্তা মেজর আরিফ ও রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।