• রোববার , ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

‘বিপ্লব বেহাত হয়নি সরকার কাজ করছে’


প্রকাশিত: ১০:৪৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারী ২৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাষ্ট্র সংস্কার। আমরা সেটি যথাযথভাবে করছি। তবে এমন কিছু কাজ হচ্ছে তাতে অনেকেই ভাবছেন বিপ্লব বেহাত হয়ে গেলো কীনা। বিপ্লব বেহাত হয়নি, জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, অনেকে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন স্বল্পসময়ে চাচ্ছেন। এজন্য অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। তাদের বলবো, আপনারা পূর্বের ইন্টেরিম সরকার ও কেয়ারটেকার সরকারের সঙ্গে তুলনা করুন। একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে নিয়ে মাত্র পাঁচ মাসে এ সরকার যা অর্জন করেছে সেটি অভূতপূর্ব। আপনারা ভাবছেন সরকার ধীরগতিতে কাজ করছে। অথচ আগস্টের পর অর্থনৈতিক গতি বেড়েছে ইকোনমিক রিকভারি হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, জুলাই আন্দোলনের ফসল সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট। জুলাই বিপ্লবের পর রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হচ্ছে। হাসিনার অপকর্ম নিয়ে শ্বেতপত্র প্রস্তুত করেছে এ সরকার। আপনারা এগুলো পড়ুন ও ক্যাম্পাসে এসব নিয়ে বিতর্ক করুন। এর মাধ্যমে এমন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করুন যাতে এর ওপর দেশ আগামী একশ বছর টিকে থাকে।

তিনি বলেন, পুরো জাতি যদি সোচ্চার থাকে এবং আমরা যদি প্রেশার রাখতে পারি তাহলে ঠিকই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সবাই মিলে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হবে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা। এজন্য যতরকমের আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা যায় সেটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।