• শনিবার , ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বিপিএলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের অবমূল্যায়নে দেশের অসম্মান-আন্দোলনের হুমকি-


প্রকাশিত: ৯:৫৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

Shakib_Al_Hasan-www.jatirkhantha.com.bdএস রহমান.ঢাকা:    বিপিএলের মনগড়া প্লেয়ার রেটে চরম অসন্তোষ চলছে ক্রিকেটের  ভিতরে বাইরে। খেলোয়াড়রা মুখ বুজে সহ্য করবেন না বলেও মনে হচ্ছে। দেশী বিদেশী ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা জাতিরকন্ঠকে বলেছেন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের বিশ্ব ক্রিকেটের মাপকাটিতেই মাপা উচিত। তানাহলে বাংলাদেশ যেমন খাটো হবে তেমনি বিশ্ব ক্রিকেটের মাপকাঠিকেও অসম্মান করা হবে।

shakib-al-hasan-tes-2-www.jatirkhantha.com.bdtএ সম্পর্কে বাংলাদেশ ক্রিকেট ফ্যান এসোসিয়েশনের আহবায়ক বাদশা খন্দকার জাতিরকন্ঠকে বলেছেন, বিপিএলের মনগড়া প্লেয়ার রেটে আমরা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করছি।খুব শিগগির বিপিএল কর্তৃপক্ষ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের প্লেয়ার রেট আন্তজার্তিক মানের সমমান না করলে আমরা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।

প্রয়োজনে আমরা আইসিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার চাইব।এরপরও আমাদের আরো কর্মসূচি আছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব।এছাড়াও শিগগির মিডিয়ার কাছে আমরা এসব কর্মসূচি নিয়ে হাজির হব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) সাকিবকে কিনেছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। ২০১৪ সালে ২০ লাখ বেড়ে সাকিবের দাম হয় সাড়ে তিন কোটি। সেবার তাঁকে কিনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছিল দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস আর কেকেআর। শেষ পর্যন্ত আগের চেয়ে বেশি দাম গুণে সাকিবকে ধরে রাখে কেকেআর।  সেই সাকিব এর রেট এত কম??? এটা ভাবা যায়। স্বদেশীরাই বিশ্বসেরার মূল্যায়ন করনো এটা হয়না।এটা মানা যায়??

একাধিক সাকিব ভক্ত জাতিরকন্ঠে  ফোন করে জানিয়েছেন বিশ্বসেরার মূল্যায়ন ৩৪ লাখ টাকায় মানা যায় না, এটা হয়না, এটা মানা যায়?? বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের চেয়ে বেশি দাম সাঈদ আজমল-ব্র্যাড হগদের মতো খেলোয়াড়ের!৪৫ এর দোরগোড়ায় হগ গত বিগ ব্যাশেও তেমন একটা ভালো করেননি। আর বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর পর আজমল তো পাকিস্তানেই হয়ে গেছেন ‘অচল’ পয়সার মত ক্রিকেটার।

বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে যাঁরা ‘এ’ গ্রেডে আছেন, তাঁদের দাম ৭০ হাজার মার্কিন ডলার হলে যা বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫৫ লাখ। ‘এ’ গ্রেড থেকে বিক্রি হওয়া ওয়াহাব রিয়াজ গেছেন সাকিবের দল রংপুরেই। যে রিয়াজের সঙ্গে গত সিরিজে বেশ ঠোকাঠুকি হয়েছিল সাকিবের। রংপুরের সম্ভাব্য অধিনায়ক সাকিবের চেয়ে তাঁর দলের রিয়াজ কিন্তু পাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা বেশি!বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়ে রেখেছিল, বিপিএলে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব-মাশরাফি-তামিমদের প্রত্যেকের দাম ৩৫ লাখ টাকা।

‘বি’ গ্রেডের দাম ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে ছয় আইকন সাকিব, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন ও মাহমুদউল্লাহরা পাচ্ছেন ‘বি’ গ্রেডে থাকা বিদেশি খেলোয়াড়দের চেয়ে কম। এই গ্রেডে রয়েছেন আজমল-জর্ডানরা ছাড়াও আছেন ব্র্যাড হগ। আজমল-জর্ডান-হগদের চেয়ে কম দাম পাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব, অবাক হওয়ার মতোই। কুলাসেকেরাও অনেক দিন ধরে নিয়মিত নন শ্রীলঙ্কা দলে। অথচ এদের চেয়ে কম দাম পাবেন সাকিব!

বিশ্বের যেকোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডার বড় কাঙ্ক্ষিত নাম। ২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) সাকিবকে কিনেছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। ২০১৪ সালে ২০ লাখ বেড়ে সাকিবের দাম হয় সাড়ে তিন কোটি। সেবার তাঁকে কিনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছিল দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস আর কেকেআর। শেষ পর্যন্ত আগের চেয়ে বেশি দাম গুণে সাকিবকে ধরে রাখে কেকেআর।

সর্বশেষ আইপিএলে তাঁকে নিলামেই উঠতে হয়নি। গত ডিসেম্বরে সাকিবের চুক্তি বর্ধিত করে নেয় কেকেআর। প্রশ্ন তাই থেকে যাচ্ছে, বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিব কি আদৌ যথার্থ দাম পেলেন? বিষয়টি মানছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলও।

তাদের যুক্তি, টুর্নামেন্টটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই এটা করতে হয়েছে। সাকিব-তামিমদের যে আরও বেশি টাকা প্রাপ্য সেটি স্বীকার করে নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘সাকিব ৩৫ লাখ টাকার ক্রিকেটার নন। কিংবা তামিম-মুশফিকের আরও বেশি পাওয়ার কথা। আমাদের আইকন ক্রিকেটারদের মান অবশ্যই বিদেশিদের চেয়ে কম নয়। কিন্তু আমরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। টুর্নামেন্টের টিকে থাকার স্বার্থে এটা দরকার আছে।’