• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিপিএলে এবারও বির্তক-আবিস্কৃত খলনায়্ক চরিত্র


প্রকাশিত: ৭:২৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৯ বার

g----11শহিদ উল্লাহ:  বিপিএলে এবার নানা ধরনের বির্তকের মধ্যে খলনায়্ক চরিত্র আবিস্কৃত হয়েছে।এরমধ্যে ক্রিসগেইল নিয়ে নানা কাহিনী।শুরুতে মাঠে জমজমাট ক্রিকেট দিয়েই এবারের বিপিএল শুরু হয়েছিল । প্রায় প্রতি ম্যাচেই ফলাফল হচ্ছিল শেষ ওভারে, কয়েকটা তো গড়াল শেষ বল পর্যন্ত। কিন্তু ঘুরেফিরে দু-তিনটি উইকেটেই খেলা হওয়ায় কয়েক ম্যাচ যেতে না যেতেই শুর হয় ঘুমপাড়ানি টি-টোয়েন্টি। ক্লান্ত উইকেটে দেখা দিল রানখরা, প্রাণ হারাল ক্রিকেট।

g-1বিপিএলের প্রথম দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢুকছেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক। তাঁর পেছনে আসা প্রবল জনস্রোতের ধাক্কায় হাট করে খুলে গেল স্টেডিয়ামের গেট। কেউ বাধা দিল না। কেউ আটকাল না। ভিড়ে পদপিষ্ট হলেন বেশ কয়েকজন। বিপিএল শুরু হলো বিশৃঙ্খলায়।

বিপিএলের শেষ দিনে গাড়ি নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকছেন আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক। গাড়িটা ঢোকামাত্রই হুড়মুড়িয়ে কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষও ঢুকে পড়তে চাইল খোলা গেট দিয়ে। এবার বাধা হয়ে দাঁড়াল পুলিশ। ভেতর থেকে দশ-বারোজন মিলে চেপে ধরলেন গেট। এড়ানো গেল চরম বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা।
বিপিএলের তৃতীয় আসরের প্রতীকী চিত্র বলতে পারেন দুটি ঘটনাকে। শুরুতে একটু এলোমেলোই মনে হচ্ছিল টুর্নামেন্টটাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্তত বাহ্যিকভাবে হলেও তাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক রঙিন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোর অন্দরের খবরগুলো অনেক সময় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায় না। সে জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সে জন্যই আপাতত শুধু ‘বাহ্যিক শৃঙ্খলা’র কথা বলা।

আগের দুই বিপিএল ছিল চরম বিতর্কিত। খেলোয়াড়দের দেনা-পাওনা নিয়ে অভিযোগ, ফিক্সিং কেলেঙ্কারি, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিয়ম না-মানা ইত্যাকার কলঙ্কে আন্তর্জাতিকভাবেই একটা নেতিবাচক ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল টুর্নামেন্টটার। এক মৌসুম বন্ধ থাকার পর এবার ‘স্বচ্ছ বিপিএলে’র প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নামে বিসিবি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের কথায় কাল খুঁজে পাওয়া গেল সেই প্রতিজ্ঞা পূরণের স্বস্তি, ‘এটা টিমওয়ার্কের ফসল। ভালোভাবে টুর্নামেন্টটা শেষ করতে পারায় আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

বিসিবির সব পরিচালক, ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক-খেলোয়াড়, সংবাদমাধ্যম এবং দর্শকদের প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞ।’ তবে ভবিষ্যতে যে এই টুর্নামেন্ট থেকেও কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে না, সেই নিশ্চয়তা মিলছে না বিপিএল সচিবের কাছ থেকেও, ‘আমাদের অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যেগুলো প্রকাশ্যে আসেনি।’

টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ঘটনাটি ঘটেছে লিগ পর্বে চিটাগং ভাইকিংস-সিলেট সুপার স্টারসের প্রথম ম্যাচে। সিলেটের অনাপত্তিপত্র ছাড়া বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামানোর বিতর্ক গড়িয়েছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকের সঙ্গে চিটাগং অধিনায়ক তামিম ইকবালের কথা–কাটাকাটিতে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে জানালেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য নেই। বিপিএল সদস্যসচিব অবশ্য জানালেন, ‘ঘটনার ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে দুই পক্ষেরই দোষ ছিল। সে জন্য বিষয়টা শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।’

‘তদন্তে’র অপেক্ষায় সেমিফাইনালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বরিশাল বুলসে ক্রিস গেইলের না খেলার রহস্যটিও। গেইলকে না খেলানো এবং তাঁর হঠাৎ চলে যাওয়া নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ গভর্নিং কাউন্সিলের। কাল মল্লিক আবারও বললেন, ‘এটা নিয়ে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। আইসিসি থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে গেইল খেলেনি কেন। চোটের কারণে কেউ নাই খেলতে পারে, কিন্তু সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে এ রকম একজন খেলোয়াড়ের না থাকার বিষয়টি আগে জানানো উচিত ছিল।’ এ ছাড়া ফিক্সিংয়ের গন্ধ ছিল চট্টগ্রামে হওয়া চিটাগং ভাইকিংস-রংপুর রাইডার্স ম্যাচে।