বিপদসীমার উপরে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের পানি-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
শফিউল আলম বাবুল : তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে তিস্তা নদীর দুই তীরের বিস্তৃর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড্ সুত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই তিস্তার পানি হুহু করে বাড়তে থাকে এবং রাত ৩টায় পানি তিস্তা নদীর বিপদসীমা অতিক্রম করে।
বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেমি)। তিনি জানান, পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল এখন হাটু পানিতে নিমজ্জিত। জেলার ডিমলা উপজেলার, ছাতুনামা, ঝাড়সিংহের চর, কিসমত ছাতনাই, উত্তর খড়িবাড়ি, পুর্ব খড়িবাড়ি, দোহল পাড়া, চর খড়িবাড়ি, ভাসানীর চর, টাবুর চর, ছোট খাতা, ভেন্ডাবাড়ি, বাইশ পুকর এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে রাতেই উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার উজানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডিমলা উপজেলার ৯নং টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চড় খড়িবাড়ি গ্রামের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত যৌথ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। গত দু’দিনে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাধটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।স্থানীয়রা জানায়, বাধটি ভেঙে গেলে তিস্তা পাড়ের ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। তাই এলাকাবাসী মাইকিং করে বাধ রক্ষার চেষ্টা করছেন।
বাধ নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা ময়নুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এলাকার সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাধটির নির্মাণের কাজ দেড় মাস আগে সম্পন্ন করা হয়। এখন বাধটি রক্ষা করা না গেলে জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের একতার বাজার, চরখড়িবাড়ি, ঝিঞ্জির পাড়া, লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গুড্ডিমারী ও বাউরা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার এ বর্ষায় তিস্তার বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়বেন। তাই এলাকায় মাইকিং করে বাধটি রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।