‘বিদেশী সংস্থার দরকার নাই-জঙ্গিদের ‘ফিজিক্যালি’ ট্যাকেল করতে সক্ষম সরকার’
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা মোকাবেলা করতে বিদেশী কোনও সংস্থা আগমনের খবর নাকচ করে দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছে সরকার।বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, জঙ্গি হামলার ঘটনা তদন্ত করতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষী (এনএসজি) বাহিনীর একদল কর্মকর্তা বাংলাদেশে আসছে।
এর একদিন পর শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে কোনও বিদেশী সংস্থা আসার খবর নাকচ করে দেন।তিনি বলেন, জঙ্গিবাদকে ‘ফিজিক্যালি’ ট্যাকেল করার সক্ষমতার প্রমাণ শেখ হাসিনার সরকার গত আট বছরে দিয়েছে। আমরা অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করেছি।
তিনি বলেন,‘ফিজিক্যাল ক্যাপাসিটি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন ঘাটতি নেই। এখানে গোয়েন্দা তথ্যটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এ জন্য ‘ইনটেলিজেন্স শেয়ারিং’য়ের জায়গাটিতে সহযোগিতা দরকার বলেও মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরে; যে দেশে হামলার শঙ্কা রয়েছে সে দেশের আভ্যন্তরীণ শক্তি, ক্ষমতা বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সক্ষমতা আছে কিনা সেগুলো মোকাবেলা করার, তা বিবেচনার বিষয়।
বাংলাদেশের কঠিন সময়ে বিদেশী বন্ধুরা পাশে আছে বলে জানান শাহরিয়ার আলম। এক্ষেত্রে ইতালির ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,ইতালির ভাইস মিনিস্টার যখন এসেছিলেন, তিনিও বলেছেন যে যেখানে রক্ত মিশেছে; যেখানে ইতালি ও বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে প্রাণ দিয়েছে; সেই জায়গায় সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং জোড়দার হবে। সামনের সমস্যাগুলো আমরা একসঙ্গে ট্যাকেল করবো।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের দিন সকালে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে পুলিশসহ চারজন নিহত হয়। এছাড়াও আহত হন আট পুলিশসহ অন্তত ১২ জন।
এর আগে গত ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা ১৭ বিদেশীসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে। এছাড়াও নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।পরদিন সকালে সেখানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। এছাড়া সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।
এই দুই সন্ত্রাসী হামলা ঘটনা তদন্তে ভারতের এনএসজির একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল চলতি সপ্তাহের শেষে বাংলাদেশে আসবে বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায় দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই।প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিনিধি দলটি গুলশানের হামলাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেবে।
আর কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া থেকে বিস্ফোরণের নমুনা ও প্রমাণ সংগ্রহ করবে।গুলশানে হামলার পর পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার অনুমতি চাইলে ঢাকা তা অনুমোদন করে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।