• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বিতর্কিত মুসা বিন শমসেরের ৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক


প্রকাশিত: ৪:৩৬ এএম, ৪ নভেম্বর ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১০ বার

Musa-------------------------

 Musa--3শফিক আজিজি.ঢাকা:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)  শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী ও ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে। সোমবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর  মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি ম্যাগাজিনে মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে  প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এ অনুসন্ধানের  সিদ্ধান্ত নেয় হয়। ওই ম্যাগাজিনে এ ব্যবসায়ীর জবানিতে তার জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি নানা বিষয় উল্লেখ করা হয়। ম্যাগাজিনে তার সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয় সাত বিলিয়ন ডলার (৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা প্রায়)।

এ প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ”প্পু বলেন, প্রতিবেদনে মুসা বিন শমসের তার আয়, আয়ের উৎস, জীবনযাপনের কথা যেভাবে  প্রকাশিত হয়েছে, তা দুদকের অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুদক সূত্র আরও জানায়, ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, মুসা বিন শমসেরের সম্পত্তি প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি। তিনি অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। পাশাপাশি ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে অনুদান দিতে চেয়ে আলোচনায় উঠে আসেন।

Musa-----2লেবার পার্টির টনি ব্লেয়ার নির্বাচনী  প্রচারণা চালানোর জন্য তার পাঁচ মিলিয়ন ডলার অনুদান অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ উপমহাদেশে  মুসা  শীর্ষ স্থানীয় বর্ণাঢ্য ব্যক্তি যিনি এক বিলিয়ন পাউন্ড উপার্জন করেছেন ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান ও  ক্ষেপণাস্ত্র  বেচাকেনার ব্যবসা করে।  সম্প্রতি প্রিন্স মুসার জন্মদিন পালিত হয়েছে। ওই সময় এক বিবৃতিতেও তাকে  বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে দাবি করা হয় তার পক্ষ থেকে।

সূত্র আরও জানায়, ২০১১ সালের ২৪শে জুন ড. মুসা বিন শমসেরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল  কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে তার নো ইউর কাস্টমার (কেওয়াইসি) ফর্মের সব তথ্য জানতে  চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময়  কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাত কার্যদিবসের মধ্যে ড. মুসার সব ব্যাংকের স্থায়ী, চলতি, সঞ্চয়ী, ডিপিএস, এসপিডিএস, এফডিআর বা অন্য কোন পদ্ধতিতে হিসাব পরিচালিত হয়েছে বা হচ্ছে কি না, সে সম্পর্কে তথ্যসহ হিসাব খোলার দিন থেকে হালনাগাদ হিসাব বিবরণী দাখিল করতে তফসিলিভুক্ত ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল। দুদকের নির্দেশ আমলে নিয়ে  কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রিন্স মুসার হিসাব তলব করলেও পরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়।