• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিচারপতি অভিশংসনের বিল পাস হবে ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর: সুরঞ্জিত


প্রকাশিত: ৭:৫৮ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৩ বার

 

contitutionস্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা:
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিরো​ধিতা অজ্ঞতাবশত, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, দেশে ভালো কাজ করার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সতর্ক থাকতে হবে। সংসদে এ বিল উঠেছে, আগামী ১৭ বা ১৮ (সেপ্টেম্বর) তারিখে এটি পাস হয়ে যাবে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার খাজা নাজিমউদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ মন্তব্য করেন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিচারপতিতের অভিশংসনের বিলটি আলোচনায় আসতে না আসতেই যাঁরা সুপ্রিম কোর্ট বারে হইচই শুরু করে দিলেন। এটি হয়তো তাঁরা অজ্ঞতাবশত, না হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলছেন। এটি দুরভিসন্ধিমূলক।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলামের সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, ‘যাঁরা সংবিধানের প্রণেতা, যাঁদের মানুষ শ্রদ্ধা করে, তাঁদের মতো মানুষেরা না বুঝেই “গেল গেল” বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলেন। যুদ্ধাপরাধীদের দলে চলে গেলেন। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, আমরা যে বিল এনেছি—এটা কি অধিকতর গণতান্ত্রিক হবে? না জিয়া যেটা নিয়ে এসেছিলেন, সেটা অধিকতর গণতান্ত্রিক ও ফলপ্রসূ?’

আওয়ামী লীগদলীয় এই সাংসদ বলেন, বিচারপতিরা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তাঁরা নির্বাচিত নন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত। তাঁদের অপসারণের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় বিচারপতিদের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি প্রবর্তিত হচ্ছে। এতে বিচারপতিদের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে।

তৃণমূল কংগ্রেস দলের একজন সাংসদ বাংলাদেশে জামায়াতকে অর্থায়নের বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের সরকার তদন্ত করছে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমাদের কোনো কথা বলা ঠিক হবে না।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক হাসিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।