• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে-বিল উত্থাপিত


প্রকাশিত: ৯:২৮ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

 

প্রিয়া রহমান,ঢাকা:  highcort
বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন-সংক্রান্ত বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন।

আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটিতে বিলটি পাঠানো হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিলটি আইনে পরিণত হলে অন্যান্য সাংবিধানিক পদের ব্যক্তিদের অপসারণের ক্ষমতাও সংসদের কাছে ন্যস্ত হবে।

সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একজন বিচারক ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে রাষ্ট্রপতির আদেশে কোনো বিচারককে অপসারণ করা যাবে। বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ছাড়া কোনো বিচারক রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করতে পারবেন।

বাহাত্তরের সংবিধানে বিচারপতিদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ৬২ বছর। সংশোধনীতে তা ৬৭ বছর করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, বিচারকদের অভিশংসন পদ্ধতি আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে। কিন্তু বর্তমানে সেই আইন নেই। এই আইন প্রণয়নের জন্য কোনো বিলও সংসদে পাঠানো হয়নি।

বিলটি পাস হলে মহাহিসাব নিরীক্ষক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যসহ অন্যান্য সাংবিধানিক পদের ব্যক্তিদের অপসারণের ক্ষমতাও সংসদের কাছে ন্যস্ত হবে।