বিক্ষুদ্ধ সুপার শপ মালিকরা বলছেন-আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই জেল-জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত
স্টাফ রিপোর্টার : সুপারশপের মালিকেরা অভিযোগ করেছেন, সুপারশপে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় পণ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নীতিমালার বৈষম্যের কারণেও সুপারশপের বিকাশ সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিকাশমান এ খাতের বিকাশ ও খাতটিকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা। আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, সুপারমার্কেট থেকেই এ দেশে নিরাপদ খাদ্যের বিস্তার ঘটেছে। নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে সুপারমার্কেটগুলোকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার সুযোগ থাকলেও তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের নামে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সুপারমার্কেটে অভিযান চালিয়ে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য পরীক্ষার মাধ্যমে জরিমানাও করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রচারমুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম বলেন, রোববার সারা দেশে আগোরা, মীনা বাজার, স্বপ্ন, প্রিন্স বাজার, ক্যারি ফ্যামিলি, আলমাসসহ সব ধরনের সুপারশপগুলো বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। এ খাতের ওপর যেসব বৈষম্য রয়েছে, সেগুলো দূর করা না হলে বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এখন এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে উল্লেখ করে নিয়াজ রহিম বলেন, সমস্যার সমাধান না হলেও বিদেশি বিনিয়োগ কেন, দেশি ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগে দ্বিধাগ্রস্ত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির নেতারা বলেন, সুপারশপের মালিকেরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। অভিযান পরিচালনাকালে পণ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত পরীক্ষাগারে করানোর দাবি জানান তাঁরা। এ খাতের ওপর বৈষম্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তাঁরা বলেন, সুপারশপগুলোতে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, যার প্রভাব ক্রেতাদের ওপরই পড়ছে। এ ভ্যাট ভোক্তা অধিকার আইনের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কাজী আনিস আহমেদ, সাব্বির হাসান নাসির, কাজী ইনাম আহমেদ প্রমুখ।