`বিএনপি নেত্রীকে বলেন-মানুষের লাশ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করতে’
প্রিয়া রহমান.ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কী অর্জন হয়েছে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। যে মানুষের জন্য রাজনীতি, সে মানুষকে যদি হত্যা করা হয়, তাহলে কাদের জন্য এই রাজনীতি? আমরাও আন্দোলন করেছি। তবে জনগণকে হত্যা করে নয়। এ ধরনের জঘন্য ও বীভৎস হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য সবার সহযোগিতা চাইা। যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের কষ্ট বুঝি। কষ্ট নিয়েই বেঁচে আছি। ’
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস: লুণ্ঠিত মানবতা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদ এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। আর সূচনা বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান মঞ্চে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা চলমান হরতাল-অবরোধের নাশকতায় দগ্ধদের হাজির করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দগ্ধদের দেখিয়ে বলেন, ‘এরা তো কোনো রাজনীতিতে নেই। নিরীহ মানুষ। সবাইকে আহ্বান জানাব, বিএনপি নেত্রীকে বলেন, মানুষের লাশ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করতে। ’ তিনি বলেন, ‘যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের শহিদী মৃত্যু। তাঁদের কোনো অপরাধ নেই। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা নির্বাচন করবে না। আমি চেষ্টা করেছি, টেলিফোন করেছি, মন্ত্রিত্ব সেধেছি। কোনো কিছুই তারা মানেনি। ছেলে মারা গেল। আমি গেলাম। মুখের ওপর দরজা বন্ধ করা হলো। দুই-তিন ঘণ্টা আগেই তো আমি খবর দিয়েছিলাম। না যেতে দিলেই আগেই না করে দিত। ’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সব মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমি রাজনীতি নিজের জন্য করি না। মানুষের জন্য করি। দেশের জন্য আমার বাবা-মা-ভাই রক্ত দিয়েছে। ’
খুনিদের সঙ্গে আমাকে এক করে ফেলবেন না-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমার সবচেয়ে কষ্টের, দুঃখের। ’ বিবেকবান ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে রাশিয়া, ভারত, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ভুটান ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত; শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত; চীন ও ওমানের উপ রাষ্ট্রদূত; মালদ্বীপ, ইরাক ও আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স; যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও পাকিস্তানের কনস্যুলার উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের শুরুতেই অবরোধ-হরতালে সহিংসতার নানা আলোকচিত্র দেখানো হয়।