• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপি দেশের দিকে তাকায় না, তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে- শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ৬:২০ পিএম, ৮ এপ্রিল ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪১ বার

অনলাইন ডেস্ক:
আপডেট: ১৬:২৩, এপ্রিল ০৮, ২০১৪

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।বিএনপি দেশের দিকে তাকায় না। তারা সব সময় নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সাক্ষাত্ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
বিএনপির বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি সরকার মাত্র এক টাকা মূল্যে সিএসডি গুদামের জায়গা একটি বেসরকারি কোম্পানিকে লিজ দিয়েছিল। ৪০টি গুদাম ভেঙে এ জমি লিজ দিয়ে আত্মঘাতী কাজ করেছিল। বিএনপি দেশের দিকে তাকায় না, তারা সব সময় নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একসময় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় দেশ ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমনের মাধ্যমে।’
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে এবং চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল রেল লাইন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে চার লেনের কাজ এগিয়ে চলেছে। ছয় লেনের সুবিধা রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলছে, যাতে করে ভবিষ্যতে এ মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ের রুট তৈরি করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম শহরে একটি রিংরোড তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টানেল নির্মাণের জন্য সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদের নেতৃত্বে ৫৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান এবং তাঁদের এ বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন। পরে আইনজীবীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। তিনি ধৈর্য ধরে তাঁদের বক্তব্য শোনেন এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।