বিএনপি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে:হাসিনা
বিশেষ প্রতিনিধি : বহু আগেই ডিজিটাল দেশগুলোর কাতারে থাকত বাংলাদেশ। অথচ অজ্ঞতার কারণে সুযোগ থাকা সত্ত্বে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে বিএনপি। রোববার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি কুয়াকাটায় স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই সাবমেরিন কেবল যুক্ত করা হয়েছে। অবশেষে শুরু হলো দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-ইউ-ফাইভ’ এর কার্যক্রম। রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুয়াকাটায় সাবমেরিন কেবল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই সাবমেরিন কেবল যুক্ত করা হয়েছে। পটুয়াখালীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানিুষের সার্বিক উন্নয়ন করা কর্তব্য। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
শেখ হাসিনা জানান, ২০০৬ সালে কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন স্থাপন করেছি। এটি ৩শ’ জিবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন। কিন্তু ইতোমধ্যেই ২৫০-২৬০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হয়েছে। কুয়াকাটার দ্বিতীয় সাবমেরিন স্টেশনের ধারণ ক্ষমতা হলো এক হাজার ৫ শ’ জিবিপিএস। কক্সবাজারের চেয়ে এটি ৫ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন।
সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-ইউ-ফাইভ’’র মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও সহজে এবং সুলভে ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। কেননা দ্বিতীয় এই সাবমেরিন কেবলটি স্যাটেলাইটের উপর নির্ভরতা কমাবে।
ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর দুর্ঘটনায় ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে প্রথম কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল। ২০০৫ সালের প্রথম কেবল থেকে পাওয়া সেকেন্ড প্রতি ৩শ’ গিগাবাইট ইন্টারনেটের সঙ্গে এবার ধাপে ধাপে যুক্ত হচ্ছে আরো দেড় হাজার গিগাবাইট ইন্টারনেট। নতুন এই কেবলটির মেয়াদকাল ২০ থেকে ২৫ বছর।
জানা যায়, প্রথম কেবল থেকে ইতোমধ্যে ভারতের অঙ্গরাজ্যে ইন্টারনেট রপ্তানির পর এবার দ্বিতীয় কেবলের ইন্টারনেট স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মালয়েশিয়া, ভুটান এবং ভারতে রপ্তানির পরিকল্পনা করেছে সরকার।