‘বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর এক্সটেনশন’
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি যতই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর চেষ্টা করুক, পাকিস্তানপন্থী বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থক দলের ওপর দিল্লি কিছুতেই ভরসা রাখবে বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।আজ শনিবার দুপুরে ভারত সফররত দিল্লির স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্কট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে একটি মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আসলে বিএনপি আজ জামায়াতে ইসলামীর একটা এক্সটেনশনে পরিণত হয়েছে। তাদের নিজেদের শক্তি বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই, জামায়াত আর শিবিরের ভরসাতেই তারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ও গণ্ডগোল বাঁধাতে চাইছে। এমন একটা পাকিস্তানপন্থী শক্তিকে ভারত কেন হঠাৎ করে বিশ্বাস করতে যাবে?’তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিদেশে ফেরার একজন কনভিক্টেভ ক্রিমিনালকে (দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী) যে দল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়, তাদের ওপর একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক দেশ কীভাবে ভরসা রাখবে?’
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আর ভারতের রাজনীতিবিদ বা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আলোচনা করতে বিএনপির যে তিন নেতা দিল্লিতে এসেছিলেন, তাদের দিকেই তাকান না কেন! আমি কারও নাম করবো না, কিন্তু তাদের একজন তো আমাদের দেশে পাকিস্তান ও চীনের এজেন্ট হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত।
তিস্তা পানির চুক্তি প্রসঙ্গে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘তিস্তা এখন আর তেমন কোনও ব্যাপার নয়।এবারের নির্বাচনে বিরোধীরা নিশ্চয় বলার চেষ্টা করবে শেখ হাসিনার সরকার তো তিস্তা চুক্তিও করাতে পারলেন না, ভারত কিছুই দিলো না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা কিন্তু পরিষ্কার বলতে চাই, তিস্তা এখন আর তেমন কোনও বড় সমস্যা নয়।’তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটা কথা খুব বলেন, আমরা হলাম নদীর ভাঁটির দেশ। পানি এখানে ঠিকই আসবে, আসতে বাধ্য। একটা নদীকে কেউ মুছে দিতে পারবে না, আর তাই আজ হোক কাল, পানির ভাগাভাগি নিয়েও চুক্তিও ঠিকই হবে।
তিনি বলেন, ‘আসলে দুটো প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সদিচ্ছা আর সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী (অ্যাটিচিউড) থাকলে যেকোনও বড় সমস্যাই মিটিয়ে ফেলা যায়। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আমাদের নাগরিকদের মৃত্যু কিংবা ফেন্সিডিল পাচারের রমরমা নিয়ে একসময় হইচই কম হয়নি। কিন্তু এখন সীমান্তে মৃত্যুও প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে, ভারতের দিকে ফেন্সিডিল বানানোর করাখানাগুলোও বন্ধ হওয়াতে পাচারও থেমে গেছে। তাই আমাদের কোনও সন্দেহ নেই ঠিক সেভাবে তিস্তারও একদিন সুরাহা হবে!