বিএনপি চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে ভালো কিছু চাচ্ছে-গয়েশ্বর
স্টাফ রিপোর্টার : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আসন্ন ঢাকা সফরের সময় আলোচনা ও সম্ভাব্য চুক্তির ক্ষেত্রে ভারসাম্য থাকবে এমনটাই আশা করছে বিএনপি।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক মতবিনিয়ম অনুষ্ঠানে বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফরে আমরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি।
একটি বিষয় বুঝতে হবে, আমরা দেশের স্বার্থটা যতটা না বুঝি, বিশ্বের আর যত দেশ আছে, তারা তাদের দেশের স্বার্থটা বেশি বোঝে। সুতরাং পারস্পরিক স্বার্থ সমন্বয় করে সকলের স্বার্থ রক্ষা পায় এমন চুক্তি আমরা সকল দেশের সাথে চাই।অতীতের মতো ভবিষ্যতেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নয়া পল্টনে একটি রেঁস্তোরায় সাংবাদিকদের সন্মানে শারদীয়া দূর্গা পূজার বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিয়য়ের এই অনুষ্ঠান হয়।
দুইদিনের সফরে শুক্রবার ঢাকা পৌঁছবেন শি জিনপিং। তার সফরের সময় বাংলাদেশের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে চার হাজার কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।তবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ঋণচুক্তির অঙ্কের বিষয়টি না বললেও ‘রেকর্ড পরিমাণ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে’ বলে জানিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, “কী চুক্তি হবে- মিডিয়াও এ ব্যাপারে অবগত নয়, আপনারা জানলে আমরাও জানতাম। চীনা প্রেসিডেন্ট কি নিয়ে আসছেন, কি দিতে আসছেন, কি চাইতে আসছেন বা কি আমার দেশ চাচ্ছে- এটা আমরা জানি না।সাধারণত যেসব চুক্তি হয়, গণতান্ত্রিক একটি সরকারে সংসদে এসব আলোচনা হয়। যদিও এই সংসদ তাদেরই। আমরা পুরোপুরি অন্ধকারেই আছি। আমরা প্রত্যাশা করব ভালো কিছু হবে।
চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ভাবতে হবে কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের জন্য উপযোগী। অর্থাৎ অন্যের লাভের জন্য আমার ঘাড়ে যেন কোনো চাপ না পড়ে। পারস্পরিক লাভ হবে, সেক্ষেত্রে আমরা যেন জাতিগতভাবে লাভবান হই।”
বর্তমান সরকারের আমলে ফ্লাইওভারসহ সড়ক অবকাঠামোর বিভিন্ন বড় প্রকল্পের ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়ে ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী গয়েশ্বর।অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।