• বুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপির পরিবহন তাবেদারি


প্রকাশিত: ১১:০৮ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২ বার

০০ নারায়নগঞ্জে পরিবহন মস্তানি রিপন-রানা-দাদা সেলিমের ০০ অনুমোদন ছাড়াই চলছে ৩ কম্পানির বাস

 

স্টাফ রিপোর্টার : চর দখলের মতো বিএনপির পরিবহন তাবেদারি চলছে নারায়নগঞ্জে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অনেকটা গায়ের জোরে প্রশাসনকে বগলে নিয়ে এসব করছে বিএনপি নেতারা। যার ফলে কোনো রকম অনুমোদন ছাড়াই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করছে তিনটি পৃথক পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রায় ৩২টি বাস। স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের ম্যানেজ করেই এসব পরিবহনের বাস চলাচল করছে। জেলা প্রশাসন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার কথা বললেও বাস্তবে এই তিন পরিবহনের দৌরাত্ম্য কমছে না। ফলে শহরে বেড়েছে যানজটের মহাযজ্ঞ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পরিবহন নিয়ন্ত্রণে রাখা নেতারাও আত্মগোপনে চলে যান। এই সুযোগে বিভিন্ন পরিবহনের নতুন পরিচালনায় আসেন বিএনপির নেতারা। গত ২৪ আগস্ট থেকে হিমাচল পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল শুরু করে। পরবর্তী সময়ে হিমাচলের পরিবর্তে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গ্রিন ঢাকা পরিবহনের বাস চালু করা হয়।সেই সঙ্গে আসিয়ান এবং সৃজন নামের আরো দুই পরিবহনের বাস চালু করা হয়।

এর মধ্যে আসিয়ান পরিবহনের আড়ালে রয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, গ্রিন ঢাকা পরিবহনের পেছনে রয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা এবং সৃজন পরিবহনের পেছনে রয়েছেন কারাবন্দি সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের অনুসারী সেলিম ওরফে দাদা সেলিম। জানা যায়, গ্রিন ঢাকা পরিবহনের বহরে ১২টি এবং আসিয়ান ও সৃজনের বহরে ১০টি করে ২০টি বাস চলাচল করছে। কিন্তু এই তিনটি পরিবহনের কোনোটিরই এই রুটে চলাচলের অনুমোদন নেই।

গ্রিন ঢাকা পরিবহনসংশ্লিষ্ট মাহবুব আলম দুলাল নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ১০-১২টি বাস চলাচল করছে। আমরা শুধু কাজ করে যাচ্ছি। এর পেছনে কারা রয়েছে এবং নিয়মনীতির অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, সেটা কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন।’আসিয়ান পরিবহনের বর্তমান মালিক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো বাসেরই রুট পারমিট নেই। এর আগে গত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এক পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় শীতল পরিবহন নামের শুধু এক কম্পানির বাস ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করতে দিত। তাদেরও রুট পারমিট ছিল না।’

সৃজন পরিবহনের বর্তমান মালিক সেলিম ওরফে দাদা সেলিম বলেন, বিআরটিএ থেকে অনুমতি নিয়েই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আমাদের কম্পানির বাস চলাচল করছে।’বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। এই তিন পরিবহনের কোনো পরিবহনই আমাদের কাছ থেকে কোনো রুট পারমিট নেয়নি। ঢাকা থেকে রুট পারমিট নেওয়া থাকলেও সেটা আমাদের কাছে জমা দেয়নি।নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বাস পরিচালনা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে জেলা প্রশাসন কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেয়নি বলে পরিবহন সংশ্লিষ্ঠরা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন।