• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্সে লুটপাট


প্রকাশিত: ৮:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল ১৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৫ বার

টিপু সুলতান: ঢাকা ৩১ এপ্রিল:

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নিয়োগপ্রাপ্ত এমজে আবেদিন অ্যান্ড চ্যার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টসের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কোম্পানিটি তাদের সম্পত্তি ও জীবন বীমা তহবিলের পরিমাণ উল্লেখ করেছে ৩৮ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার ২৫৪ টাকা। অথচ ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৭ টাকার কোনো হিসাব খুঁজে পায়নি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে আইন লঙ্ঘন করে ২০১০ সালে কোম্পানিটি মাইক্রো ইন্স্যুরেন্সের বেতন বাবদ এজেন্টকে দিয়েছে ৫৬ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ৭৮০ টাকা। ২০০৯ সালে তারা এ বাবদ দিয়েছে ২৯ কোটি ১২ লাখ ৫১ হাজার ৬৭৫ টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট এজেন্টদের কোনো নিবন্ধন সনদ দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি, ১৯৩৮ সালের বীমা আইনের যা লঙ্ঘন।
নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হিসাব না পাওয়া ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৭ টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে সমন্বয় করেছে কোম্পানিটি।
সেখানে অসংগৃহীত প্রিমিয়াম বাবদ দেখানো হয়েছে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩ টাকা। এজেন্টদের কাছে পাওনা দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯১ ও বিভিন্ন প্রকল্পের কাছে পাওনা ১৭ কোটি ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৩ টাকা। কোম্পানি খাতে প্রিমিয়াম আয়ের ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা জমা হয়নি বলেও প্রমাণ পেয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক ভূঁইয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।