• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বাড়ি ফিরছে রসরাজ -জীবন নিয়ে শঙ্কিত


প্রকাশিত: ৭:০১ পিএম, ১৭ জানুয়ারী ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি  :  কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরছেন রসরাজ দাস।তবে তিনি নিজের rosraj-www.jatirkhantha.com.bdজীবন নিয়ে শঙ্কিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের আলোচিত রসরাজ দাস (৩০) নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমার জীবন নিয়ে আমি শঙ্কিত। কারাগারে থাকা অবস্থায় শুনেছি আমাকে মেরে ফেলা হবে। আমি আমার নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।’

দীর্ঘ আড়াই মাস পর জামিনে মুক্ত হয়ে মঙ্গলবার কারাগার চত্বরে সাংবাদিকদের কাছে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। রসরাজ দাস বলেন, ‘আমি নির্দোষ ও ষড়যন্ত্রের শিকার। কে বা কারা ছবি পোস্ট করেছে আমি জানি না। আমি ফেসবুক চালাতেও জানি না। শুধু ছবি দেখার জন্য একজনকে দিয়ে ফেসবুক খুলছি। যারা ফেসবুকে এই ছবি দিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

ইসলাম অবমাননা করে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার রসরাজ দাসের সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।

জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে রসরাজ দাস তার মামা ইন্দ্রজিৎ দাস, বড় ভাই দয়াময় দাস ও ভগ্নিপতি নেপাল চন্দ্র দাসের সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে নিজ বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। রসরাজ দাস নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হড়িণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে।

নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করার পর নাসিরনগর থানার ওসি মো. আবু জাফর বলেন, ‘রসরাজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তার এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। রসরাজ বাড়িতে আসায় সেই ক্যাম্পে পুলিশের সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, এছাড়াও রসরাজের ব্যাপারে আমাদের বাড়তি সর্তকতা রয়েছে।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘রসরাজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।তিনি বলেন, নাসিরনগর উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা তৎপর আছি।

এর আগে, গত বছরের ২৯ অক্টোবর রসরাজ দাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম অবমাননা করে আপত্তিকর ছবি পোস্টের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা নাসিরনগর। ওই দিন বিকেলেই পুলিশ রসরাজ দাসকে গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা করে। এ ঘটনার জেরে ৩০ অক্টোবর নাসিরগরের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।