বাড়তি দামের আশায় মাওয়া-ভাঙ্গা রেললাইনের জমিতে অবৈধ স্থাপনা
আসমা খন্দকার : বাড়তি দামের আশায় মাওয়া-ভাঙ্গা রেললাইনের জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। অসাধু একটি মহল ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেললাইনের জন্য প্রস্তাবিত খালি জমির ওপর তুলছেন শত শত ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। অবশ্য নতুন স্থাপনার কথা স্বীকার করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেইসঙ্গে সবশেষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এতে যুক্ত হচ্ছে রেলপথও। প্রস্তাবিত এই রেললাইন স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মাদারীপুরের শিবচরের ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেললাইন হতে যাচ্ছে। আর এ বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে রেললাইনের খালি জমির ওপর গাছপালা রোপণ ও নতুন ঘরবাড়ি তুলে সরকারের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার পায়তারা শুরু করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই আবার দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে নিজেদের নাম ক্ষতিগ্রস্তদের খাতায় লিখিয়ে নিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, এক একটি পরিবার ৮-১০টি বসত ঘর তুলেছেন। অথচ এসব বসত ঘরে থাকেন না কেউ। অধিকাংশ ঘর তালাবন্ধ। পুকুরের মধ্যে মৎস্য খামারের সাইনবোর্ড থাকলেও পুকুরে নেই কোন মাছ। এদিকে গরু-ছাগলের একাধিক খামার থাকলেও তা শূন্য পড়ে রয়েছে।
এসব দালাল ও অসাধুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সুধিজনেরা।অবশ্য, নতুন ঘর গড়ে ওঠার কথা স্বীকার করে অসাধুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামাল উদ্দিন।
মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরের চর, পাঁচ্চর, দত্তপাড়া, সন্ন্যাসীর চর, কাঁঠালবাড়ী ও কুতুবপুর ইউনিয়নের ১৭টি মৌজার ৩’শ ১২ একর জমি অধিগ্রহণে ৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্তদের নাম ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।