বাহিনীর বিপথগামী সদস্যদের জন্য এ রায় ম্যাসেজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার রায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপদগামী সদস্যদের জন্য ম্যাসেজ বলে মন্তব্য
করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সচিবালয়ে সোমবার রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন ও র্যাব-১১ এর বরখাস্তকৃত অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ তারেকসহ ২৬ জনের ফাঁসি ও বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
এ রায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপদগামী সদস্যদের জন্য কোনো ম্যাসেজ কীনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই এটা ম্যাসেজ। এটা ম্যাসেজ যে, কেউ বাদ যাবে না। যারা দুস্কর্ম করবে, তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হোক, কিংবা যেই হোক। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নেই সেটাই ম্যাসেজ, সেটা ক্লিয়ার।’
‘ঘটনার নৃশংসতা ও নির্মমতায় আমরা হতবাক হয়েছিলাম। আমার প্রতিক্রিয়া আপনাদের মতোই। আমাদের তদন্তকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী সঠিকভাবেই চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য চার্জশিট দিতে পেরেছিল। সেজন্য একটি জাতি ও ভিকটিম যারা তারা সঠিক বিচার পেয়েছে,’ যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
র্যাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর দায় তাদের উপর আসে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান হিসেবে তো কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রতিষ্ঠান দায়-দায়িত্ব নেবে কেন? প্রতিষ্ঠান যদি দায়-দায়িত্ব নিতো তবে এর (বিচারের) বিরুদ্ধে দাঁড়াত। যারা দণ্ডিত হয়েছেন তাদের সমস্ত সঠিক তথ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে দিয়েছে। এজন্য এগুলো ধরার সুযোগ হয়েছে, চার্জশিট দেওয়ার জন্য। তাদের দুষ্ককর্মগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
পলাতক আসামীদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
