বাসর রাতে সাদা চাদরে বধুর সতীত্ব পরীক্ষা হয় যেখানে-
মিরা নায়ার : ‘সতীত্ব পরীক্ষা’য় ফেল করায় বিয়ের মাত্র দু দিনের মাথায় নববধূকে ডিভোর্স দিয়েছেন স্বামী।ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাশিক এলাকায়। তবে ওই পরীক্ষা অবৈজ্ঞানিক ও প্রাচীন বলে অভিযোগ উঠেছে।।
ইন্ডিয়া ডটকমের খবরে বলা হয়, নাশিককের গ্রামগুলোতে বহুকাল আগে থেকে নববধূর ‘সতীত্ব’ পরীক্ষা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। সেই রীতি অনুযায়ী, ওই জেলার এক গ্রামে গত ২১ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নববধূর সতীত্ব পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষার জন্য সেই গ্রামের পঞ্চায়েত বাসর রাতে বিছানায় বিছানোর জন্য নববধূর স্বামীর হাতে সাদা চাদর তুলে দেন। বাসর শেষে সেই চাদর আবার তাদের দেখাতে বলা হয়। সে অনুসারে, বাসর করার পর সেই চাদর পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেন স্বামী।
কিন্তু তাতে কোনো রক্তের দাগ দেখতে না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট হন পঞ্চায়েত। সঙ্গে সঙ্গে নববধূকে ‘অসতী’ বলে ঘোষণা করেন এবং তাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য স্বামীকে নির্দেশ দেন। তাদের কথামতো, বিয়ের পরদিন ২২ মে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন স্বামী।এদিকে, এ ঘটনায় সমালোচানার ঝড় উঠেছে। অনেকে এ পদ্ধতিকে সেকেলে, প্রাচীন, ভিত্তিহীন ও অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, ওই নববধূ সম্প্রতি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেয়েছেন। এর শারীরিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে তাকে নিয়মিত দৌড়, লং জাম্প, সাইক্লেনিং ও অন্যান্য ব্যায়ামে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সতীত্ব হারানোর অপবাদে তিনি ডিভোর্স পেলেন।
এতে হতবাক হয়ে ওই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেয়েটির পরিবার।