বার্সেলোনার ভালবাসায় নোবেল জয়ীর বাংলাদেশ
শফিক রহমান : বার্সেলোনার অফিশিয়াল সাইটে ঢুকলে এই মুহূর্তে প্রধান খবর হিসেবে লিওনেল মেসিকে পাবেন না। নেইমার কিংবা লুইস সুয়ারেজও নয়। সেখানে এখন আছেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সামাজিক ব্যবসার ধারণা দিতে ড. ইউনূস গিয়েছেন বার্সেলোনায়। এই ফাঁকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবটিতে। কাল ন্যু ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। তাঁর নাম লেখা একটি বিশেষ জার্সি পরেছেন। জানিয়েছেন হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের এই ক্লাবটিকে কী করে বাংলাদেশের মানুষ আপন করে নিয়েছে।
ইউনূস স্বীকার করেছেন, বার্সার বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের নাম তিনি জানেন না। তবে এই ক্লাবটিকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের আবেগের কথা, মেসি-নেইমারদের প্রতি ভালোবাসার কথা ঠিকই জানেন। পথেঘাটে, চায়ের আড্ডা থেকে প্রায়ই তাঁর কানে ভেসে আসে বার্সাকে নিয়ে মানুষের আড্ডা। কে গোল করল, কে করেনি।
বার্সার গ্যালারিতে বড় করে স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ‘ক্লাবের চেয়ে বড় কিছু’র দিকে আঙুল তুলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘এখানে আসতে পেরে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। বাংলাদেশে তো প্রায় সবাই-ই বার্সার ভক্ত, এই ক্লাব আর ক্লাবের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে প্রায় সবকিছুই তাঁরা জানেন। এই ক্লাবকে ঘিরে মানুষের যে আবেগ, সেটা কিন্তু বিস্ময়কর।’
ইউনূস বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে খেলা একটি স্বপ্ন, বিশেষ করে তরুণদের কাছে। বার্সা মানুষকে একত্র করে। আর এই সম্মিলিত শক্তি মানুষের ভালোর জন্য ব্যবহার করা যায়। বার্সা যেমনটা বলে, ক্লাবের চেয়ে বেশি কিছু, এটার শক্তি সীমাহীন।’
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জেতা ক্ষুদ্রঋণের জনককে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বার্সার সহসভাপতি জর্ডি কার্দোনার। ক্লাব পরিচালক ডি ডাক লি এবং এফসি বার্সেলোনা ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক র্যামন গারিগা। তাঁরা ইউনূসকে অভিনন্দন জানান তাঁর অবদানের জন্য।
কার্দোনার বলেছেন, “অধ্যাপক ইউনূসের মতো একজন মানুষকে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি, যিনি মানবতা ও সমাজের প্রয়োজনে এত কিছু করেছেন। আমাদের মতো ক্লাবের ব্যাপারে তিনি যে আগ্রহ দেখিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য গর্বের। একজন নোবেলজয়ী আমাদের ক্লাবের দর্শন ‘ক্লাবের চেয়ে বড় কিছু’কে তুলে ধরছেন, এটাও অনেক বড় ব্যাপার।”