বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিসিআইইতে সব টেবিলে ঘুষ-পাকরাও হলো শহিদুল!
বিশেষ প্রতিবেদক: সিসিআইই’র ঢাকা কার্যালয় নিয়ন্ত্রককে সরিয়ে দিয়ে মন্ত্রণালয় শাখা কলুমুক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।তাদের অভিযোগ এই কার্যালয়ের সব টেবিলেই চলে ঘুষের লেনদেন।এক শহিদুলকে সরিয়ে দিলেই কি সবাই ধোয়া তুলশি পাতা হবে? এ প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।
পুরো ঘুষ-বাণিজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে সিসিআইইর ঢাকা কার্যালয় নিয়ন্ত্রক। উঠতে ঘুষ বসতেও ঘুষ।েসর্বনিম্ন ঘুষ ৫ হাজার টাকা চাইওেনইলে মিলবে না সনদ। এমনি একজন কর্মকর্তার নাম শহিদুল হক।রসুর্নিদিষ্ঠ অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার তাকে প্রত্যাহার করেছে বানিজ্য মন্ত্রণালয়।
তবে অভিযোগ রয়েছে শহিদুল একা ঘুষ খেতের না।ওই ঘুষের টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যেত।কিন্তু শেষমেষ বলির পাঠা হলো শহিদুল। প্রধান আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রক মজিবুর রহমান বলেন, শহিদুলকে ক্লোজ করা হয়েছে। তিনি এখন থেকে আর এ কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা নন।
সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে গেলে সিসিআইই থেকে আমদানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) নিতে হয়। বিদেশে কোনো কিছু রপ্তানি করতে গেলেও এই দপ্তর থেকে নিতে হয় রপ্তানি নিবন্ধন সনদ (ইআরসি)। এই দুই সনদের ক্ষেত্রেই ঘুষের ঘটনা বেশি ঘটছে বলে জানা গেছে। কাগজপত্র ঠিক থাকুক আর না-ই থাকুক, ঘুষ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে কেউ কোনো সনদই নিতে পারেন না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানান, পুরো ঘুষ-বাণিজ্যেরই নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিসিআইইর ঢাকা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক শহিদুল হক।