বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মাতব্বরী-হঠাৎ গণবিরোধী ভ্যাটের পক্ষে মত-?
বিশেষ প্রতিনিধি : এবার বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক মাতব্বরী করলো। তারা বললো এ বাজেটে
‘আশা দীর্ঘ আশ্বাস সংক্ষিপ্ত’-।শুধু তাই নেয় তারা হঠাৎ করে গণবিরোধী ভ্যাটের পক্ষে মত-দিয়েছে? বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রাগুলো আশার ওপর ভিত্তি করে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আশার পেছনে পদক্ষেপ কম।
এমন ব্যাখ্যা দিয়ে বিশ্বব্যাংক বাজেটকে মোটা দাগে ‘আশা দীর্ঘ, আশ্বাস সংক্ষিপ্ত’- এ শিরোনামে অভিহিত করেছে। আর বহুল আলোচিত নতুন ভ্যাট আইন ঠিকমতো বাস্তবায়ন হলে দ্রব্যমূল্যের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে না বলে মনে করছে বাংলাদেশের কথিত উন্নয়ন সহযোগী এ সংস্থাটি।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংস্থার পর্যালোচনা তুলে ধরেন লিড ইকোনমিষ্ট জাহিদ হোসেন। এ সময় কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান এবং পর্যালোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ. মাহবুব।
চিমিয়াও ফান বলেন, বাজেটে আয় ও ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা কোনোভাবেই অর্জন করা যাবে না- এমনটি তারা বলছেন না। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দরকার নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যথাযথ সংস্কার। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ বর্তমানের তুলনায় বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সামর্থ্য রাখে। তিনি নতুন ভ্যাট আইনকে বিনিয়োগ বান্ধব উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষা ও অবকাঠামোতে বেশি ব্যয় করতে হলে কর আদায় বাড়াতে হবে। কম সুদের বিদেশি ঋণ গ্রহণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পরামর্শ দেন তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, বাজেটে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার অর্জন নির্ভর করবে অনেক সংস্কার কার্য্রক্রমের ওপর। কিন্তু বিভিন্ন খাতে কাঠামোগত সংস্কারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। প্রতিবছরই এডিপিতে নতুন প্রকল্প যোগ হচ্ছে। কিন্তু শেষ হচ্ছে কম। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে কি না তা সুনির্দিষ্টভাবে বাজেটে বলা হয় নি। এসব বিবেচনায় তারা মনে করছেন, আশার পেছনে আশ্বাসের ঘাটতি আছে।