• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাজেটের পর-মোবাইল সেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি


প্রকাশিত: ৮:২৫ পিএম, ৬ জুন ১৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৯ বার

 
ডেস্ক রিপোর্টার: ঢাকা ৬ জুন ২০১৪:
smart---2বাজেটের পর-মোবাইল সেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।তাঁরা বলছেন, যতদিন বিদেশী সেট স্টকে থাকে ততদিন দাম বাড়বে না।স্টক শেষ হলেই দাম বাড়তে থাকবে।

আগামি ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেট আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপের প্রস্তাব করেছে সরকার। বিদেশি এসব সেট আমদানিতে কর বেড়ে গেলে বাজারে এর দাম বাড়বে। এ নিয়ে বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়।

বিদেশি মোবাইল ফোন কোম্পানির ডিলাররা জানান, বিদেশি মোবাইলগুলো যতদিন স্টকে থাকবে ততদিন দাম বাড়ছে না। তবে স্টক শেষ হলে আমদানি করতে মূসক বেশি দিতে হলে কোম্পানি সেটের দামও বাড়িয়ে দেবে।

রাজধানীর ইস্ট্রার্ন প্লাজার মোবাইল ব্যবসায়ী মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করা হলেও এসব বিদেশি সেটের বাজারে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না।

স্যামসাং মোবাইলের এই আমাদানিকারক বলেন, বাজেটের প্রভাব বাজারে এত দ্রুত পড়বে না। অন্য কোম্পানিগুলো দাম বাড়ালেও স্যামসাং এখন দাম বাড়াবে না। ভ্যারাইটিস মোবাইল সেটের দোকানদাররা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে কমাতে পারে। কিন্তু স্যামসাং আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি। তবে নতুন পণ্য আনা হলে দাম বাড়বে। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে বাজেটের প্রভাব পড়তে শুরু করবে।

নোকিয়া লুমিয়া ১৫২০ মডেলের মোবাইল সেট কিনতে আসা তামান্না আবেদিন বলেন, গতকাল বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মোবাইলে কর বেড়েছে, তাই দ্রুত দাম বাড়ার আগেই মোবাইল কিনতে আসলাম।

smart---3তার স্বামী নোমান আবেদিন বলেন, এসব পণ্যে দাম বাড়লে ক্রেতা কমে যেতে পারে। ফলে স্মার্ট ফোনের ব্যবহারও কমে যেতে পারে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে বিষয়টি অন্তরায়। তাই এ খাতে কর বাড়ানোটা উচিৎ হয়নি।

নোকিয়া সেটের আমদানিকারক মো. তবারক হোসাইন বলেন, দাম এখনও না বাড়লেও কয়েকদিনের মধ্যেই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের পণ্যের মান নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট। তাই দাম বাড়লে নোকিয়া সেটের গ্রাহক গ্রাহক কমবে না।

উল্লেখ্য, সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণে দাম মোবাইল সেটসহ বাড়বে ৬৩টি পণ্যের দাম। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে কিছু কোম্পানি উন্নত মানের মোবাইল ফোন সংযোজন করছে। তাদের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূসক দিতে হচ্ছে।

অথচ আমদানি পর্যায়ে মোবাইল ফোনে শুধু ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য আছে। তাই মোবাইল সেটের ওপর ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

তবে সিম কার্ডে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এই খাতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রদান করতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে এই হার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।