• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাইডেনের সেলফিতে হাসিনা- ঘনিষ্ঠ আলাপও হয়েছে


প্রকাশিত: ৮:৪২ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫০ বার

কূটনৈতিক রিপোর্টার : সাবাস বাংলাদেশ। এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়; শেখ হাসিনাই পারেন এবং তিনিই পারবেন। জো বাইডেন মানুষ চিনতে ভুল করেননি। তাই নিজেই সেলফি তুলেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। সঙ্গে মাঝে ছিলেন পুতুল।
বাইডেনের সেলফিতে জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (বাঁয়ে), সায়মা ওয়াজেদ মাঝে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এভাবেই নিজের মোবাইল ক্যামেরায় ধরে রাখেন বাংলাদেশ সরকার প্রধানকে।
ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন। শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর সেখানে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়েছে। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে সেলফি তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ওই অনুষ্ঠানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি President Joe Biden মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর কন্যার সাথে। ছবিটা কে তুলেছে মনে হয়?’

অনুষ্ঠানের আরও কয়েকটি ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চমৎকার গল্প হয়েছে। সম্প্রসারিত জনস্বাস্থ্যের অংশ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব নিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল সাইকোলজিস্টদের ভূমিকার গুরুত্ব নিয়েও কথা হয়েছে।’

সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন।সায়মা ওয়াজেদ ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতা-সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজমবিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলন আয়োজন করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

ভারতের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে শনিবার ও আগামীকাল রোববার দুই দিনব্যাপী চলবে জি-২০ সম্মেলন। সেখানে অংশ নিয়েছে জোটের সদস্যদেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। সম্মেলনে বাইডেন ছাড়াও রয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাসহ বিশ্বনেতারা।

ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। এই সভাপতিত্বের মেয়াদে বাংলাদেশসহ মোট ৯টি দেশকে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের প্রথম সেশন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বিশ্ব সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। আরও একটি অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন উদ্বোধনের পর একফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনানুষ্ঠানিক আলাপ হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে ছিলেন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তখন হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় সেলফি তোলেন জো বাইডেন।

শনিবার নয়াদিল্লিতে ব্যস্ততম দিন কাটান শেখ হাসিনা। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের কথা রয়েছে।