অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। পাশাপাশি বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সাবেক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দুপুরে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, সংস্থার রাজনীতিবিষয়ক সাবেক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের পিস বিল্ডিং সাপোর্ট অফিসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশের চলমান সহিংসতার প্রেক্ষাপটে শুধু উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়াই কি জাতিসংঘের জন্য যথেষ্ট, না কি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে জাতিসংঘের বেশি কিছু করা উচিত।
জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এবং তিনি (তারানকো) সেই কাজটি করছেন। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক উন্নয়নের ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ।
স্টিফেন ডুজারিচ বলেন, ‘এখানে যে বিষয়টি বেশ কয়েকবার গুরুত্ব দিয়ে বলেছি, গত বছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশের সহিংসতা ও সহিংসতার ফলে লোকজনের প্রাণহানিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
এদিকে গত বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতপার্থক্য দূর করতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের দূত হিসেবে তারানকো ২০১২ ও ২০১৩ সালে তিন দফায় ঢাকায় আসেন। ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি ছয় দিনের জন্য বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরের সময় তিনি দুই দলকে আলোচনার টেবিলে বসালেও তাদের মতপার্থক্য দূর করতে পারেননি। তাই দুই দলকে দুই দফায় টেবিলে বসানোর ‘সাফল্য’ নিয়েই ঢাকা ছাড়েন তারানকো।