বাংলাদেশ চীন ভারত মিয়ানমার নেপাল ভুটানের ব্যবসা’র প্রাণকেন্দ্র হবে পায়রা
পটুয়াখালী থেকে ফিরে সাইফুল বারী মাসুম : বাংলাদেশ, চীন, ভারত মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসা বানিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হবে পায়রা বন্দর। আজ সেভাবেই যাত্রা শুরু করলো পায়রা বন্দর।এই বন্দর ব্যবহার করে খুব সহজেই লাভবান হবে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর বিসিআইএমের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে পায়রা এমনটিই আশা সরকারের।
বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের মধ্য দিয়ে আজ সোমবার শুরু হলো দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা। বন্দরটি চালুর মধ্য দিয়ে নিরাপদ বাল্ক পণ্য নদীপথে পরিবহনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পদ্মা সেতুর জন্য ৫৩ হাজার টন পাথর নিয়ে রামনাবাদ চ্যানেলের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি ফরচুন বার্ড’। সড়ক ও রেলপথ ছাড়াই মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে নৌপথে পণ্য পরিবহনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার কর্যক্রম।
১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা নিয়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর সংসদে পাস হয় পায়রা বন্দর অধ্যাদেশ-২০১৩। একই বছর ১৯ নভেম্বর বন্দরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর্যায়ক্রমে এটি গভীর সমুদ্র বন্দরে রূপ নিয়ে চার লেনের মহাসড়ক ও ডাবল গেজ রেললাইনে যুক্ত হয়ে পরিপূর্ণভাবে চালু হবে ২০২৩ সালে।
নেপাল ও ভুটান খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবে এই বন্দর। এমনকি বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর বিসিআইএমের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে পায়রা এমনটিই আশা সরকারের।