বাংলাদেশ কে দ্যাখ -আশাফা সেলিম
বিশ্বে যখন অর্থমন্দা
সবার গালে হাত,
তখন আমার প্রবৃদ্ধি হার
সাত দশমিক সাত।
তাকা তখন, বাংলাদেশের দিকে
খবরগুলো জানতে এবং বলতে পৃথিবীকে-
জাতির পিতার যোগ্য মেয়ের মনে
দেশ ও জাতির ভাবনা প্রতিক্ষণে।
প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে অতি-
দেশ নিয়ে তাঁর, উল্কাসম গতি।
তাইতো দেশে ফলন গেছে বেড়ে
দারিদ্র্য নেই, মঙ্গা গেছে ছেড়ে।
লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা নেই দেশে
নিরাপত্তার শংকা গেছে ভেসে।
আগের সকল রেকর্ড ভাঙা হারে
চাকরিজীবীর বেতন-ভাতা বাড়ে।
তাই জীবনের মানও গেছে বেড়ে
অর্থের অভাব আসে না আর তেড়ে।
দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের গ্লানি
আজ আমাদের সইতে হয় না জানি
নিজের টাকায় পদ্মা সেতুখানি
টানতে হয় না, বাড়তি ঋণের ঘানি।
বনদস্যু-জলদস্যু নত
বন-সাগরে কমছে হতাহত!
যুদ্ধপাপী, পিতার খুনীর হাসি?
ন্যায়বিচারে তাদেরও হয় ফাঁসি।
মাদকসেবী-সন্ত্রাসীরা চিপায়
সব মাদার অব, হিউম্যানিটির কৃপায়!
দেশ হারানো, নির্যাতিত, রোহিঙ্গাদের প্রতি
মানবতার নজির সৃষ্টি, স্বীকার করে ক্ষতি!
১১ লাখ অনুপ্রবেশ, দেননি তিনি রুখে
বরং ওদের মাতৃস্নেহে, টেনে নিলেন বুকে!
শহরে নয়, গ্রামেও সম হারে
স্বাস্থ্য, শিক্ষা সবার দ্বারে দ্বারে।
কৃষক-শ্রমিক সবার মুখেই হাসি
গ্রামেও মিলছে কর্ম রাশি রাশি।
দেশরত্নই দেখিয়ে দিলেন এসে
ডিজিটালের জয়ের বাংলাদেশে
পূর্বাচল বা স্নিগ্ধ হাতির ঝিল
কথার সাথে কাজের এমন মিল!
‘নর্দ ইউ লুপ’, এলিভেটর, পাতাল রেলে উঠে-
ঊর্ধ্বমুখী মানুষ যাবে, হাওয়ার বেগে ছুটে।
একই সঙ্গে সকল জেলায় বোমা?
ঝিমিয়ে সেসব অজগর আর গোমা!
আফগানি আর পাকিপন্থী যারা
তারাও আজ মলিন-দিশাহারা।
যুদ্ধাপরাধ করেও মুখে হাসি?
ন্যায়বিচারে তাদেরও হয় ফাঁসি।
যোগ্য মেয়ের অসীম সাহস দেখে-
বিশ্বের অনেক শাসকরাও শেখে।
বদলে জঙ্গি, বর্বরতার পালা
মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছে ফুলের মালা
আজকে নারী, সংখ্যালঘুর মনে-
আশার প্রদীপ, তারাও উচ্চাসনে।
দেশটা নাকি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’
ফুটবে না ফুল, সারাজীবন কুড়িই?
কোথায় সে মুখ, বলবে এমন যা-তা
সেই মুখে দেই ঘাস ও লতা-পাতা।
পাকিস্তানও বাংলাদেশের মতো
হবার লক্ষ্যে চেষ্টা করছে শত!
তাদের কি আর এমন নেতা আছে
উন্নয়নের মডেলটি যাঁর কাছে।
(পুনশ্চ: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাদার অব হিউম্যানিটি, দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিনের শুভেচ্ছায় রচিত : আশাফা সেলিম)