• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

‘বাংলাদেশ আক্রান্ত হলে ব্যবস্থা’


প্রকাশিত: ৮:৫০ পিএম, ২৭ আগস্ট ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৩ বার

 

বান্দরবান প্রতিনিধি :  মিয়ানমারের রাখাইনের সংঘাত ঘিরে কেউ সীমান্তের জিরো লাইন ক্রস করলে বাংলাদেশ আক্রান্ত হলে ব্যবস্থা bgb-www.jatirkhantha.com.bdনেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। মিয়ানমার বাহিনী এবং সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সীমান্ত পরির্দশন শেষে রোববার বিকালে বান্দরবান বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের ঘুমধুম বিওপিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিজিবি ডিজি। তিনি বলেন, ‘কোনো রকম লোক আমাদের এখানে আসতে পারবে না। আমরা ইনশা’আল্লাহ সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রস্তুত এবং পুরোপুরি প্রস্তুত।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন বলেন, ‘আপনার নিশ্চিত হতে পারেন আমাদের এখানে গোলাগুলি তথা আমাদের জিরো লাইন ক্রস করবে না। যদি করে থাকে আমরা সমুচিত জবাব দেব।’
সীমান্তে বিজিবির পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত বিজিবি। বিজিবি আরও ১৫ হাজার সদস্য বাড়াবে।

এর আগে বিজিবি ডিজি ঘুমধুম সীমান্তের জিরো লাইন পরিদর্শন করেন। মিয়ানমারের রাখাইনের সংঘাত থেকে বাঁচতে সেখানে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন।প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে রাখাইনে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। ঘোষণা দেয় অভিযানের। এরই মধ্যে গ্রামের পর গ্রাম রোহিঙ্গাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর বদলা নিতেই রোহিঙ্গা যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ পোস্টে হামলা এবং একটি সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।এই সংঘর্ষে রোববার সকাল পর্যন্ত ৯৬ জন নিহতের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এর মধ্যে ৮৪ রোহিঙ্গা মুসলিম আর ১২ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।

সংঘর্ষের পর স্রোতের বেগে সীমান্তে আসছে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত। এসব এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনী বিজিবির কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও তারা রাতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আসা দুই রোহিঙ্গা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। স্থানীয়দের ধারণা, অন্তত ৩ থেকে ৫ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে অনুপ্রবেশ করেছে।