বাংলাদেশের রপ্তানি তালিকায় এবার ক্ষুদ্রাস্ত্র-গুলি
বিশেষ প্রতিনিধি : ডিজিটাল বাংলাদেশের আরেক ধাপ অগ্রগতি । খুব শিগগির বাংলাদেশ থেকে রফতানি হবে ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং গুলি। এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ আনুসঙ্গিক কর্মপরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শেষ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানিতে অনুমোদন দিয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে আবারও যোগ হচ্ছে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ। ছোট অস্ত্র রপ্তানির জন্য প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এখন শুধু সরকারের পণ্য রপ্তানির তালিকায় ক্ষুদ্রাস্ত্র ও গুলির নাম যোগ হবার অপেক্ষা, তাহলেই শুরু হবে রপ্তানি।
বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা-বিওএফ দেশের অস্ত্র তৈরির একমাত্র প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আওয়ামী লীগের আগের সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানিতে অনুমোদন দিয়েছিল। ওই ধারাবাহিকতায় পরে অনুমোদন দেয় সেনা সদর ও সরকার।
জাতিগত সহিংসতায় ক্ষতবিক্ষত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বেশ কয়েকটি দেশের বাহিনীকে আধুনিকায়নের কাজও করছে বাংলাদেশ। ওই দেশগুলোতে রপ্তানির সুযোগ বেশি।
১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছিলো চার কোটি ডলার। পরে অবশ্য অস্ত্র না রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়। এখন আবার রপ্তানি শুরু হলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ হবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানিতে তৃতীয় দেশ।