• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

‘বাংলাদেশি’ রুমানা ট্রাম্পের প্রশাসনে যেভাবে টিকেছিলেন!


প্রকাশিত: ৮:৫৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৭ বার

rumana-www.jatirkhantha.com.bd.---1
দি আটলান্টিক অবলম্বনে লাবণ্য চৌধুরী  :   বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে আটদিন কর্মরত ছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে তাঁর পদ ছিল জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার। সম্প্রতি ট্রাম্প মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ায় রুমানা হোয়াইট হাউস থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দি আটলান্টিক পত্রিকায় নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে একটি কলাম লিখেছেন তিনি।

উজ্জ্বল ভবিষ্যদের আশায় ১৯৭৮ সালে রুমানার বাবা-মা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সব সময় হিজাব পরা  রুমানা হোয়াইট হাউসে শিক্ষানবিশ হওয়ার জন্য বেশ পরিশ্রম করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে তিনি ওয়েস্ট উইংয়ে চাকরির প্রস্তাব পান।
rumana-www.jatirkhantha.com.bd.1
লেখায় রুমানা বলেন, ‘২০১৪ সালের শুরুতে উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে চাকরির প্রস্তাব দেন। আড়াই বছর আমি আমেরিকান মুসলিমদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামার যোগাযোগের জন্য উপদেশ দিয়েছি এবং কিউবা, লাউসের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করেছি।’

ওবামার আমলকে রুমানা সহিষ্ণুতা ও শান্তির সময় হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ সময় তিনি সত্যিকার আমেরিকান মনে করতেন। একই সঙ্গে তাঁর আদর্শ ও ধর্মচর্চায় স্বাধীন ভেবেছিলেন। এরপর ট্rumana-www.jatirkhantha.com.bd.---রাম্প নির্বাচনে জয় পেলে পরিস্থিতির অবনতি হয়। প্রথমদিকে রুমানা হোয়াইট হাউসে থেকে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন, যাতে তিনি আমেরিকান মুসলিম সম্প্রদায়কে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী সব হলো না এবং নতুন প্রশাসন কোনোভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না।

রুমানা লেখেন, “ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে যে কয়দিন আমি ছিলাম তা ছিল অদ্ভুত, আতঙ্কজনক ও গোলমেলে। রিগ্যান প্রশাসনের এক কর্মী যেমন বলেছেন, ‘এই জায়গাটা বিশৃঙ্খল হয়ে গেছে। চরম বিশৃঙ্খল। আমি এ রকম আগে কখনো দেখিনি’।”

rumana-www.jatirkhantha.com.bdরুমানার মতে, হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের গুটিকতক লোকের হাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া পুরোটাই চলে এসেছে। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের বেশির ভাগ কর্মী ক্ষুব্ধ এবং নিজেদের আয়ত্তে যা ছিল তা তাদের অজান্তেই হতে থাকায় অবিশ্বাস জন্মায়।

রুমানা বলেন, ‘কোনো কাঠামো বা স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল না। হলগুলো ছিল ভুতুড়েরকম শান্ত, কারণ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তখনো কেউ আসেনি।’

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকে তিনি তাঁর দেশে মুসলিম নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। সর্বশেষ রাশিয়ার সঙ্গে গোপন যোগাযোগের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প।