বহু কেলেংকারির নায়ক ঢাকার অতিরিক্ত জেলা-দায়রা জজ জুয়েল রানা বরখাস্ত
কোর্ট রিপোর্টার : দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে এই বিচারককে আগেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই বরখাস্তের আদেশ পাওয়ার পর তিনি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার অসদাচরণের অভিযোগে ওই বিচারককে বরখাস্ত করার বিষয়টি চিঠি দিয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়।এদিকে জুয়েল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ প্রজ্ঞাপন আকারে আজ বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আইনসচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জুয়েল রানার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ, শিষ্টাচারবহির্ভূত, অশালীন, অসংযত আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও জুয়েল রানাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মাস দুয়েক আগে বিচার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএ) কমিটি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের কমিটি ওই বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে দুটি দেওয়ানি আপিল ২৩৮/১২, ২৩৯/১৩, দেউলিয়া মোকদ্দমা নং ১৭/০৩ ও ১৬/২০০০ পরিচালনার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা ও সততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। একজন অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তা হয়ে আরজি খারিজের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘ বিচারিক জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন।