‘বস-২’ ও ‘নবাব’ নিয়ে মাথাগরম-সেন্সর বোর্ড ঘেরাও-ধাক্কাধাক্কি
স্টাফ রিপোর্টার : ‘বস-২’ ও ‘নবাব’ নিয়ে মাথাগরম অবস্থা।যৌথ প্রযোজনার এ দুই ছবিতে নীতিমালা মানা না হলেও ছবি দুটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার যে প্রক্রিয়া চলছে, তার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক ও কলাকুশলীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার’।
এ সময় যৌথ প্রযোজনার পক্ষে থাকা চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও সেন্সর বোর্ডের সদস্য ইফতেখার আহমেদ নওশাদ বোর্ডের ভেতর ঢুকতে চাইলে চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তবে জোর করে বোর্ড কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে ধস্তাধস্তিতে নওশাদের গায়ের জামা ছিঁড়ে যায়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বোর্ড কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যদের।
চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে নায়ক রিয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জীবন দিয়ে হলেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আমরা বাঁচাব। প্রয়োজনে রক্ত দেবো। এতে যদি কাজ না হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলেন নামব আমরা। তবু কোনো অনিয়ম হতে দেবো না।’
বুধবার যৌথ প্রযোজনার একটি ছবির জন্য সেন্সর বোর্ড সদস্যদের বৈঠকে বসার আহ্বান করার পরপরই এফডিসিভিত্তিক ১৪টি সংগঠন সেন্সর বোর্ড অভিমুখে রওনা দেয়। এ সময় সেখানে ছিলেন মিশা সওদাগর, সাইমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, রিয়াজ, শাহীন সুমন প্রমুখ।
এর আগে ‘বস-২’ ও ‘নবাব’ চলচ্চিত্র দুটির ক্ষেত্রে যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ করে গত সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করে চলচ্চিত্র পরিবার।
এ বিষয়ে বদিউল আলম খোকন গণমাধ্যমকে জানান, তাঁদের সেই অভিযোগের বিষয়টি আমলে না নিয়ে দুটি চলচ্চিত্রকে ছাড়পত্র দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এ কারণেই তাঁরা সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
অন্যদিকে, ‘বস-২’ ও ‘নবাব’ চলচ্চিত্রটি যাতে সেন্সর বোর্ডে ছাড়পত্র পায়, সে জন্য বুধবার দুপুরে প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজসহ সমমনা কয়েকজন।
‘বস-২’ ছবিতে অনিয়ম দেখার পর যৌথ প্রযোজনাবিষয়ক প্রিভিউ কমিটি আপত্তিপত্র দিলেও পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘পুনর্বিবেচনা’ করে দেখার অনুরোধে ছবিটি সম্পর্কে ‘অনাপত্তি’ জানায় কমিটি। এখন সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র দিলেই ছবিটি হলে প্রদর্শনে কোনো বাধা থাকবে না।
যৌথ প্রযোজনার ছবি মুক্তি না দিলে অন্য দেশি ছবিও মুক্তি দেওয়া হবে না বলে এরই মধ্যে হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে এমন নানামুখী তৎপরতায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।