বসুন্ধরা সিটিতে এবার বছরব্যাপী মেলা-ট্যুরিজম মেলার ব্যাপক সাফল্য
দীনা করিম : রাজধানী ঢাকায় এবার বছরব্যাপী মেলার আয়োজন করছে অ্যাডভারটাইজিং এজেন্সি ‘থার্ড আই সল্যুশন’।এই মেলা চলছে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা সিটিতে।এই মার্কেটে দিনে সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম ঘটে বলে মেলার লোক সমাগম নিয়ে ভাবতে হয়না।
সূত্র মতে এখানে প্রতিদিন দিনের বেলা লক্ষাধিক লোক সমাগম হয়।এটা মাথায় রেখে বসুন্ধরা সিটিতে বছরব্যাপী মেলা আয়োজন করছে অ্যাডভারটাইজিং এজেন্সি ‘থার্ড আই সল্যুশন’।আয়োজক সংস্থার প্রধান কর্ণধারের মতে, নানা মেলা ঘিরে ব্যস্ত থাকবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম মার্কেট বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১ এ ১০০০ বর্গফুট।
বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলা আয়োজনের মূল আয়োজক থার্ড আই সল্যুইশনের ডিরেক্টর (প্ল্যানিং) নাসের মহসিন অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠকে জানান, এক সঙ্গে ১৩টি স্টল বা কোম্পানিকে নিয়ে তারা প্রতিটি মেলা আয়োজন করছেন।
ইতিমধ্যে ০৩ ফ্রেব্রুয়ারি ‘ওয়েডিং ফেস্ট’ শেষ হয়েছে, এ মেলায় বর-কনের সাজ, গয়না, বিয়ের ফটোগ্রাফি/সিনেমাটোগ্রাফি, প্রসাধনী, ব্র্যান্ডেড ওয়াচ, ক্যাটারিং এবং একটি বিয়ের আয়োজনের সবকিছুই ছিল দৃষ্ঠি আকষর্ণের মত। এখন চলছে ট্যুরিজম ফেস্ট, এবং আগামী ২৪-২৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে গ্যাজেট ফেস্ট।
এদিকে আজ রবিবার ট্যুরিজম ফেস্ট পরিদর্শনে ব্যাপক দর্শক সমাগম দেখা গেছে।দর্শকরা আগ্রহ নিয়ে ফরিং-দি ট্রাভেলার্স লিমিটেড স্টল, ব্যাংকক হসপিটাল স্টল, এর স্টল ঘুরে দেখেন।দর্শকরা এসময় ফরিং এর জঙ্গল সাফারি সুন্দরবন প্যাকেজ, সাজেক প্যাকেজ, কিংডম অব ক্লাউডস বান্দরবান প্যাকেজ ও বিউটিফুল সিলেট প্যাকেজ পছন্দ করে বুকিং দেন।
মেলা সম্পর্কে নাসের মহসিন জাতিরকন্ঠকে জানান, বসুন্ধরা সিটির সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর ধরে কাজ করছে। মার্কেটের ভেতরের ব্র্যান্ডিং এর কাজ করে থাকেন তারা। সেই থেকে দেশে প্রথমবারের মতো এক ছাদের নিচে বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলা আয়োজনের একটি ভাবনা তাদের মধ্যে ছিলো। আর এজন্য বসুন্ধরাই সবচেয়ে উপযোগী বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, দিনে লাখ দেড় লাখ লোক সমাগম ঢাকার আর কোনো মার্কেটে ঘটে না। এই বিপুল সমাগম তাদের মেলা জমিয়ে তুলতে বেশ সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি তাদের প্রচার-প্রচারণা লোক সমাগম আরও বাড়িয়ে দেবে। যার সুবিধা পাবেন মেলায় অংশ নেওয়া স্টল মালিকরা। পণ্যের সর্বাধিক বিক্রি ও প্রচারে অনেকেই এখানে স্টল বরাদ্দ নিতে আগ্রহী হবেন বলেও মনে করেন নাসের।
নাসের বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি মেলা আয়োজন করলে দেখা যায়, দিনে ১০ হাজার বা তার কিছু বেশি লোকের আগমন ঘটে। আর ওই সব স্থানে যেতেও অনেক সময় লাগে। এছাড়া যানজটসহ আবহাওয়াজনিত কারণে নানা বাধা লেগেই থাকে।
‘এক্ষত্রে রাজধানীর একেবারে প্রাণকেন্দ্র বসুন্ধরা সিটি হবে নগরবাসীর জন্য কোনো মেলায় অংশ নেওয়ার যথার্থ স্থান’।একই সঙ্গে সুন্দর পরিবেশ এবং নিরাপত্তার বিষয়টিও আছে বসুন্ধরা সিটিতে।
আয়োজক সংস্থা আরো জানায়, বছরজুড়ে তারা ৩০টি মেলা আয়োজন করবেন । যার মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফেয়ার, বিউটি ফেয়ার, ফুড কার্নিভাল, এডুকেশন ফেয়ার, লিজিং কোম্পানি ফেয়ার, রিয়েল এস্টেট ফেয়ার, হোম ফেস্ট, গ্রিন ওয়ার্ল্ড ফেয়ার, ক্ষুদ্র শিল্পমেলা, স্বাস্থ্যমেলা, গ্রীষ্ম ও শীতকালীন মেলা, বইমেলা ইত্যাদি।
এডভারটাইজিং এজেন্সি ‘থার্ড আই সল্যুশন’- এর বছরব্যাপী এ আয়োজনে তাঁদের সঙ্গে থাকবো আমরা অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠ (www.jatirkhantha.com.bd) সঙ্গে আরও রয়েছে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও পিপলস রেডিও ৯১.৬ এফএম। মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা facebook.com/Fair-Fest-201617 ফেইসবুকের এ পেইজ ঘুরে আসতে পারেন। এখানে নিয়মিত মেলার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।