বসুন্ধরার পর শেওড়াপাড়ায় গুলশান হামলাকারী জঙ্গিদের আরেক আস্তানা!
সাইফুল বারী মাসুম : বসুন্ধরার পর এবার শেওড়াপাড়ায় মিলেছে গুলশান হামলাকারী জঙ্গিদের আরেক আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। রবিবার সকালে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৪৪১/৮ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই আস্তানার সন্ধান পায়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক নুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়াটিয়াদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয়সহ নির্ধারিত ফরম পূরণ করে থানায় জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম তা করেন নি।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, সেখান থেকে হাতে তৈরি গ্রেনেড ও কালো পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এর আগে শনিবার বিকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন আহসানসহ তিনজনকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা অপর দুজন হলেন- গিয়াস উদ্দিনের ভাগনে আলম চৌধুরী এবং বসুন্ধরার ওই ভবনের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান তুহিন। পুলিশ বলছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর সড়কের ব্লক ই-এর ৩০১/এ প্লটের টেনেমেন্ট-৩ এর এ/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে গুলশানে হামলাকারীরা পাঁচ জঙ্গি মিলিত হয়েছিল।
ওই বাসা থেকে বালুভর্তি কার্টন, জঙ্গিদের কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান শনিবার রাতে বলেছিলেন, বালুভর্তি ওই কার্টনে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড রাখা হয়েছিল বলে তারা ধারণা করছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন গিয়াস উদ্দিন আহসান বসুন্ধরার ওই ফ্ল্যাটের মালিক। ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন তার ভাগনে আলম ও ভবনের ব্যবস্থাপক তুহিন।
এছাড়া, ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ায় গুলশান হামলাকারীদের আরেকটি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার আগে ওই আস্তানায় হামলাকারী দু’জঙ্গি নিবরাস ও আবির কিছুদিন অবস্থান করেছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।