বল বয় থেকে ক্রিকেটের গুডবয় হয়ে ফিরছেন আশরাফুল ৩ মাস ৯ দিন পর..
সাইফুল বারী মাসুম : বল বয় থেকে ক্রিকেটের গুডবয় হয়ে ফিরছেন আশরাফুল ৩ মাস ৯ দিন পর.. । ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট থেকে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ মহম্মদ আশরাফুল। বিপিএল ‘টু’তে স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে ব্যাড বয়ের ইমেজ নিয়ে এখন তিনি শুধুই ক্রিকেট মাঠের দর্শকের ভূমিকায়। নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে এখনও ৩ মাস ৯দিন বাকি।
বল বয় থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়া এবং গায়নায় দ.আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের নায়ক এখন ২২ গজে ফিরতে উদগ্রীব। প্রত্যাবর্তনের কাউন্টডাউন শুরু। একটা একটা দিন কমছে, আর জমাট বাধছে আশরাফুলের স্বপ্ন।
স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ৫ বছর ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পাকিস্তান পেস বোলার মহম্মদ আমির ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।ঠাঁই পেয়েছেন জাতীয় দলেও।ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত পাকিস্তানের অন্য দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আসিফ এবং সালমান বাট ৬ বছর পর ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন।
এই ত্রয়ীর মতোই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চাইছেন আশরাফুলও। নিজেই বলেছেন‘‘একটা একটা করে দিন গুনছি। তিন মাস পর আমি মুক্ত। আমার বয়স এখন ৩১ বছর, আরো ছয়-সাত বছর আরামসে ক্রিকেট খেলতে পারবো। আমি মনে করিয়ে এখনোও আমার দেশকে অনেক কিছু দেয়ার ক্ষমতা আছে। ’’
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট উঠে যাবে নিষেধাজ্ঞা। পাবেন জাতীয় লিগে খেলার সুযোগও। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগানোর জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আশরাফুল। জাতীয় দলে আশরাফুলের জায়গাটা এখন দখল করে নিয়েছেন অন্যরা। কিন্তু এখনই হাল ছাড়তে নারাজ তিনি।
বলছেন ‘‘জাতীয় লিগে যদি ত্রিপল সেঞ্চুরি করি, ডাবল সেঞ্চুরি করি, তাহলে সবার নজরে আসতে পারব। তখন আমাকে নিয়ে নির্বাচকরাও ভাবতে বাধ্য হবেন। আমার জায়গা কে নিয়েছেন, বা কাকে বাদ দিয়ে আমাকে নেবেন সে চিন্তা বোর্ডের। ক্রিকেটে দারুণ ভাবে ফিরতে চাই। নিজের প্রত্যাবর্তনকে স্মরনীয় করে তোলাই আমার লক্ষ্য।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনে ক্রিকেটারদের দল-বদলে তিনবার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেয়েছেন আশরাফুল। অথচ ঢাকার সেই প্রিমিয়ার ডিভশন ক্রিকেট লিগে এখন তিনি দর্শক। ২ বছর ৯ মাস ক্রিকেটের বাইরে, মিস করেছেন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ৩টি আসর, বিপিএল’র সর্বশেষ আসর। মাঠ আর ড্রেসিং রুম মিস করার যন্ত্রনা হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করছেন তিনি।
একজন ক্রিকেটার হিসেবে সুস্থ থেকে মাঠে খেলতে না পারা অনেক কষ্টের। ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা মিস করছি, তা যে কতোটা কষ্টের ,তা বলে বোঝানো যাবে না।’’ তবে নিষিদ্ধ হয়েও যুক্তরাষ্ট্রের একটি আমন্ত্রনমূলক টুর্নামেন্টে খেলেছেন আশরাফুল, ঢাকায় ইনডোর ক্রিকেটেও খেলেছেন। ফিটনেস ধরে রাখতে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে গেছেন।