বরিশালের পথশিশুদের বাঁচান-
মহিউদ্দীন অমি. বরিশাল থেকে : বরিশালের পথশিশুদের বাঁচান-শীত প্রায় এসে পড়লো । অনেকেই এই শীতকে উপভোগ করবে রাঙ্গামাটি, বান্দরবন কিংবা কক্সবাজার ভ্রমণ করে আবার কেউ কেউ রাত বিরাতে বার-বি-কিউ করবে ছাদে-মাঠে কিংবা প্রান্তরে । যারা ভালো আছে তাদের জন্য শীত মানে নতুন কিছু নয়।
ঋতুর পরিবর্তন মাত্র কিংবা বিনোদন ও উৎসব পর্ব । কিন্তু আমাদের দেশের যারা ভালো থাকে না তাদের জন্য ঋতুর এই পরিবর্তন শীত হচ্ছে ঠাণ্ডার সাথে যুদ্ধ করা । যাদের কাছে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য জোগাড় করাই মূল বেঁচে থাকা সেখানে শীত থেকে বাঁচার কোন অস্ত্র তাদের নেই।
তাই দেশের সেই সব দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষগুলো শীতে শারীরিক কষ্ট পায়- যা আমরা দেখি পথে চলতে, টিভির পর্দায় কিংবা পত্রিকায় । আমাদের দেশের নিঃস্ব এই মানুষগুলোর কষ্ট শুধু দেখলে আর জানলেই হবে,তাদের পাশে কি দাঁড়াবো না।আমাদের দায়বদ্ধতা আমাদের দাঁড় করাবে সেই সব নিঃস্ব শীতার্ত মানুষ গুলোর সামনে।
পশু পাখির দুঃখ কষ্ট যদি মানুষকে কাঁদায় তাহলে এই সব নিঃস্ব মানুষগুলোর দুঃখ কষ্ট আমাদের শুধু কাঁদবে না বরং জাগাবে, চেতনার দুয়ার খুলে দিবে। আমরা নবীন প্রজন্ম আমাদের ভেতর আছে উদ্যম, আছে সৎ সাহস আমরা কোন কিছুর ধার ধারি না মানুষের জন্য কাজ করতে।
এবার শীতে যেসব নিঃস্ব মানুষ ঠাণ্ডায় কষ্ট পাবে তাদের পাশে আমরা সাধ্যমত পাশে থাকবো, আমাদের মানবিক উষ্ণতা দিয়ে ওদের বাঁচিয়ে রাখবো এটা দেখার জন্য যে, একদিন আমাদের দেশের একজন মানুষকেও শীতের প্রচন্ড ঠাণ্ডায় আর কষ্ট পাচ্ছে না, কোথাও কেউ মানবিক আবেদন করছে না- “শীতার্ত পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান।”
“ভয়েস অফ চিলড্রেন” নতুন বছরে শীতার্ত পথশিশুদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিতে চায়। তাই, তারা এই প্রথমবার বরিশালের অর্ধশত শীতার্ত পথশিশুদের শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। সংগঠনটির সভাপতি বলেন যে, আমাদের সংগঠনটি বরিশালে নতুন এবং এই শীতে আমরা বরিশালের অর্ধশত পথশিশুদেরকে শীতবস্ত্র দিতে চাই।সেই স্বপ্নের বিজ বুনে দিতে সকলের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
সংগঠনটি ফেসবুকে “পথশিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ – ২০১৭” নামে একটি ইভেন্ট খুলেছে। এই কর্মসূচীতে প্রায় ৮০০০ টাকা খরচ হবে বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি। তিনি আরো বলেন,এতে আমাদের সকলের সাহায্যদান দরকার। আমাদের টাকা পাঠান বিকাশে: ০১৮৭৪৫৭৮৫৭৭। যে কোনো বিষয়ে যোগাযোগ: ০১৮৭৪৫৭৮৫৭৭,০১৭২০৩৮৬৪৬৫। “মানবতার হাত বাড়ান,পথশিশুদের পাশে দাড়ান”। আসুন সবাই সাহায্য করি।