• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত-চার শিশু হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন


প্রকাশিত: ৩:২৪ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :  বাচ্চু মিয়াহবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাচ্চু মিয়া (৩৩) র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত সোয়া চারটার দিকে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে র‍্যাবের দাবি।
বাচ্চুর পরিবার কদিন আগেই দাবি করেছিল, র‍্যা1পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তখন এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি র‍্যাব।

কথিত বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের ভাষ্য, গোপন সংবাদ পেয়ে তাদের একটি দল দেওরগাছ এলাকায় যায়। সেখানে চার শিশু হত্যার সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাচ্চু মিয়া ও সায়েদ আলীকে ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় তাঁরা র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় বাচ্চু নিহত হন। সায়েদকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।র‍্যাব জানায়, নিহত বাচ্চুর লাশ চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাচ্চুর নিহত হওয়ার বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য তাৎ​ক্ষণিকভাবে নেওয়া সম্ভব হয়নি।পুলিশের তথ্যমতে, বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু হত্যায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই ঘটনায় বাচ্চু ও সায়েদের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। এই মামলায় তিন আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন।

রুবেল মিয়ার জবানবন্দি অনুযায়ী, পরিবারের ওপর ক্ষোভ ও পঞ্চায়েতের দ্বন্দ্বের কারণেই চার শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় সরাসরি অংশ নেন ছয়জন। হত্যাকাণ্ডে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন গ্রামের অটোরিকশার চালক বাচ্চু মিয়া। শিশুদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের ওপর তাঁর ক্ষোভ ছিল।

জবানবন্দিতে জুয়েল মিয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডে তিনি ছাড়াও তাঁর বাবা আবদুল আলী, ছোট ভাই রুবেল, বড় ভাই বিল্লাল, চাচাতো ভাই সায়েদ, তাঁদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত বাবুল মিয়া, প্রতিবেশী আরজু ও অটোরিকশাচালক বাচ্চু সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

জবানবন্দিতে আরজু মিয়া দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন আবদুল আলী, বিল্লাল, রুবেল, জুয়েল, ফেরদৌস, সায়েদ, উস্তার, বাবুলসহ নয়জন। আরও কয়েকজন তাঁদের সহযোগিতা করেন।গত ১২ ফেব্রুয়ারি সুন্দ্রাটিকি গ্রামের স্কুলছাত্র জাকারিয়া আহমদ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই মো. তাজেল মিয়া (১২) ও মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী মাদ্রাসাছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০) নিখোঁজ হয়।

১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পাশের একটি বালুছড়া থেকে চার শিশুর বালুচাপা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত শিশু মনিরের বাবা আবদাল মিয়া বাদী হয়ে বাহুবল থানায় অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন আবদুল আলী, তাঁর দুই ছেলে জুয়েল (২০) ও রুবেল (১৮), তিন গ্রামবাসী আরজু, বশির ও সালেহ। সবশেষ সায়েদকে আটক করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব।