বনানীর ধর্ষক ধনীর দুলালদের আদালতে স্বীকারোক্তি
কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তারা এই জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন বলেন, বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় সাফাত ও সাকিফ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আদালত সূত্র বলছে, ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবিব আসামি সাফাত আহমেদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আর সাদমান সাকিফের জবানবন্দি রেকর্ড করেন মহানগর হাকিম ছাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরী।
এদিকে, বৃহম্পতিবার এই মামলার অন্যতম আসামি আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নাঈম আশরাফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জাম্মানের আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নাঈম আশরাফকে বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে তিনি ধর্ষণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী।ওই ঘটনায় ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।
ইতিমধ্যে আলোচিত এ মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলী। চার আসামিকেই বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।